ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মাশরাফি-এনামুলের নৈপুণ্যে আবাহনীর বড় জয়

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মাশরাফি-এনামুলের নৈপুণ্যে আবাহনীর বড় জয়

জয় দিয়ে প্রিমিয়ার লিগ শুরু করেছে আবাহনী

ক্রীড়া প্রতিবেদক : জয় দিয়ে ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ শুরু করেছে আবাহনী লিমিটেড। মাশরাফি বিন মুর্তজার দুর্দান্ত বোলিং ও এনামুল হক বিজয়ের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।

অথচ শুরুতে মাশরাফি-এনামুলের কেউই ছিলেন না আবাহনী দলে। প্লেয়ার্স ড্রাফটে মাশরাফিকে দলে ভিড়িয়েছিল শাইনপুকুর, এনামুলকে খেলাঘর। খেলোয়াড় ‘এক্সচেঞ্জ’ পলিসি কাজে লাগিয়ে লিগ শুরুর আগের দিন মাশরাফি-এনামুলকে দলে টানে আবাহনী। দুজন প্রথম ম্যাচেই দলের জয়ে রাখলেন বড় অবদান।  

সোমবার বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে অাগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় খেলাঘর। এনামুলের ৭৩ বলে অপরাজিত ৮৬ রানের সুবাদে আবাহনী সেটি পেরিয়ে গেছে ২৫.২ ওভারেই।

এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল খেলাঘর। তবে মাশরাফির বোলিং তোপে চুরমার হয়ে যায় খেলাঘরের টপ অর্ডার। খেলাঘরের তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকেই নিজের শিকারে পরিণত করেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি।

ডানহাতি এই পেসার ইনিংসের পঞ্চম বলেই রবিউল ইসলামকে (৪) ফেরান উইকেটকিপার এনামুলের ক্যাচ বানিয়ে। পঞ্চম ওভারে ফেরান আরেক ওপেনার সাদিকুর রহমানকে। ৯ রান করা সাদিকুর ক্যাচ দিয়েছেন তাসকিন আহমেদকে। ১৯ রান করে সাকলাইন সজীবকে ক্যাচ দেন নাফীস ইকবাল। খেলাঘরের সংগ্রহ তখন ৩ উইকেটে ৪১!



শুরুর ধাক্কাটা আর সামলে উঠতে পারেনি খেলাঘর। আবাহনীর দুই স্পিনার সানজামুল ইসলাম ও সাকলাইন সজীব গুঁড়িয়ে দেন খেলাঘরের মিডল ও লোয়ার অর্ডার। ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারানো খেলাঘর ৪১ ওভারে ১৫৪ রানেই গুটিয়ে যায়।

সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন মঈনুল ইসলাম সোহেল। তার ৬৬ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চারের মার। ৬০ বলে ৬টি চারে ৩৭ রান করেন অমিত মজুমদার।

৭ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে একটি মেডনসহ ৩ উইকেট নেন মাশরাফি। ৭ ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন সাকলাইন। চট্টগ্রামে টেস্ট খেলে আসা সানজামুলও নেন ৩ উইকেট, ২৭ রানে। একটি উইকেট পেয়েছেন নাসির হোসেন।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় আবাহনীকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার এনামুল ও সাইফ হাসান। দুজন উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৮৮ রান। সাইফ ৪৯ বলে ৫টি চারে ৩৯ করে ফিরলে ভাঙে এ জুটি।

তিন বছর পর জাতীয় দলে ফিরে ত্রিদেশীয় সিরিজে নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হওয়া এনামুল আবারো ঘরোয়া ক্রিকেট উজ্জ্বল। দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৬৭ রানের জুটিতে আবাহনীকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন এনামুল। ৭৩ বলে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় তিনি ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩০ বলে ৩ চারে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন নাজমুল।

ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। 



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়