ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

৩৩৪ রান তাড়া করে রেলিগেশন বাঁচালো ব্রাদার্স

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৬, ৪ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৩৩৪ রান তাড়া করে রেলিগেশন বাঁচালো ব্রাদার্স

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে টিকে থাকল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। আজ বুধবার রেলিগেশন লিগের শেষ ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে শেষ বলে চার মেরে ৪ উইকেটে হারিয়ে রেলিগেশন বাঁচিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। তারা টিকে থাকল প্রিমিয়ার লিগে। আর অগ্রণী ব্যাংক নেমে গেল প্রথম বিভাগে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
অগ্রণী ব্যাংক : ৩৩৪/১০ (৪৯.১ ওভারে)
ব্রাদার্স : ৩৩৫/৬ (৫০ ওভারে)
ফল : ব্রাদার্স ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা : সৌম্য সরকার (অগ্রণী ব্যাংক)।



বুধবার বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অগ্রণী ব্যাংক প্রথমে ব্যাট করতে নামে। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন সৌম্য সরকার। ১২৭ বল মোকাবেলা করে ৯টি চার ও ১১টি ছক্কায় ১৫৪ রান করেন। পঞ্চম উইকেটে তার সঙ্গে ঋষি ধাওয়ান ১৭১ রানের জুটি গড়ে দলীয় সংগ্রহকে তিন’শ পার করান। সৌম্য ১৫৪ রান করে আউট হলেও ঋষি ধাওয়ান ৬৫ বল খেলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতে ৪৯.১ ওভারে ৩৩৪ রানে অলআউট হয় অগ্রণী ব্যাংক। শেষদিকে চারজন ব্যাটসম্যান ডাক মেরে না ফিরলে অগ্রণী ব্যাংকের সংগ্রহ আরো বড় হতে পারত।

বল হাতে ব্রাদার্সের সোহরাওয়ার্দী শুভ ও শাখাওয়াত হোসেন ৩টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন ইফতেখার সাজ্জাদ ও মাইশিকুর রহমান। রানআউটে কাটা পড়েন দুইজন ব্যাটসম্যান।



৩৩৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্রাদার্সের শুরুটাও হয় দুর্দান্ত। উদ্বোধনী জুটিতে মিজানুর রহমান ও জুনায়েদ সিদ্দিকী ১২১ রান তোলেন। এরপর ব্যক্তিগত ৬২ রানে ফিরে যান মিজানুর। মাইশিকুরকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় সংগ্রহকে ১৯৮ পর্যন্ত নিয়ে যান জুনায়েদ। এরপর আব্দুর রাজ্জাকের বলে ফজলে রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ৭৭ বল মোকাবেলা করে ৮টি চার ও ২ ছক্কায় ৮৩ রান করেন জুনায়েদ।

এরপর মাইশিকুর ও দেবব্রত দাস মিলে দলীয় সংগ্রহকে ২৮৬ রান পর্যন্ত নিয়ে যান। এই রানের মাথায় মাইশিকুর ঋষি ধাওয়ানের বলে আউট হয়ে যান। ৯৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৮২ রান। এরপর দ্রুত তিনটি উইকেট হারায় তারা। ৩১৪ রানে অলক কাপালি (৯), ৩১৭ রানে ইয়াসির আলী (০) ও ৩২৭ রানে দেবব্রত (৭৩) ফিরে যান। আসা-যাওয়ার মিছিল দেখে এক সময় মনে হয়েছিল ব্রাদার্স বুঝি হেরে যাচ্ছে।



কারণ, শেষ চার বলে ব্রাদার্সের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৮ রান। স্বীকৃত কোনো ব্যাটসম্যান ছিলেন না ক্রিজে। ব্যাট করছিলেন নাজমুস সাদত ও সোহরাওয়ার্দী শুভ। তৃতীয় বলে ২, চতুর্থ বলে ১ ও পঞ্চম বলে ১ রান নেন তারা। তাতে শেষ বলে জয়ের জন্য ব্রাদার্সের প্রয়োজন ছিল ৪ রান। ঋষি ধাওয়ানের করা শেষ বলটিকে চারে পরিণত করে দলকে জেতান নাজমুস সাদত। ব্রাদার্সকে বাঁচান রেলিগেশনের হাত থেকে।

ব্রাদার্স জিতলেও ১৫৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন অগ্রণী ব্যাংকের সৌম্য সরকার।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ এপ্রিল ২০১৮/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়