ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ঢাকাকে নান্দনিক নগরীতে রূপান্তরে কাজ করছে শিল্প মন্ত্রণালয়

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৩, ১৯ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঢাকাকে নান্দনিক নগরীতে রূপান্তরে কাজ করছে শিল্প মন্ত্রণালয়

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ঢাকা শহরকে নান্দনিক নগরীতে রূপান্তরের লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিএসটিআই মিলনায়তনে ৪৮তম বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে বিএসটিআই আয়োজিত ‘নান্দনিক নগরায়নে মান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে ওঠা প্লাস্টিক, মুদ্রণ, কেমিক্যাল ও হালকা প্রকৌশল শিল্প কারখানাগুলোকে ঢাকার বাইরে পরিকল্পিত শিল্পনগরীতে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিসিকের আওতায় খাতভিত্তিক পৃথক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলেই হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তর সম্ভব হয়েছে।

বিএসটিআইর মহাপরিচালক মো. সাইফুল হাসিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, এফবিসিসিআইর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও বিএসটিআইর পরিচালক (মান) আ ন ম আসাদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, নান্দনিক নগর নির্মাণের সাথে নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান জড়িত। নির্মাণ কাজে মানসম্মত সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করা বিএসটিআইর দায়িত্ব। এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সর্বোচ্চ সততা, স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সাথে নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান পরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনো ধরনের অসাধুতার আশ্রয় নিয়ে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর অনুকূলে মানসনদ দিলে তা ক্রেতাদের জন্য ভয়ানক বিপদ ডেকে আনতে পারে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এলাকাভিত্তিক কাঁচামাল ও শিল্প সম্ভাবনা বিবেচনা করে শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি দেশব্যাপী যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও কানেকটিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে সরকার পায়রা বন্দর, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, অর্থনৈতিক জোনসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর ফলে রাজধানী ঢাকা থেকে শিল্প কারখানা স্থানান্তরিত হবে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আসবে। এসব উদ্যোগের ফলে গুণগত শিল্পায়ন ও নগরায়নের চলমান ধারা বেগবান হবে।

মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, নান্দনিক বা স্মার্ট নগর গড়ে তোলার জন্য নগরবাসীর চিন্তায় পরিবর্তন আনা জরুরি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যে স্মার্ট নগরী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে। সিটি করপোরেশন এলাকায় মোবাইল কন্ট্রোল সড়ক বাতি চালু করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার এলইডি স্ট্রিট লাইট স্থাপনের পাশাপাশি ৯০ শতাংশ সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। নগরবাসীর শরীরচর্চা ও বিনোদনের জন্য আগামী বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের ১২টি খেলার মাঠ ও ১৯টি পার্ক নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হবে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ওয়াসার দায়িত্ব হলেও নাগরিকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সিটি করপোরেশন এ কাজে সহায়তা করবে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ অক্টোবর ২০১৭/নাসির/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়