ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

এনামুল-ঈশ্বরণের সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংকের জয়

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১২, ১৯ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এনামুল-ঈশ্বরণের সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংকের জয়

এবারের প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হয়েছেন অভিমান্যু ঈশ্বরণ

ক্রীড়া প্রতিবেদক : টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই তিন অঙ্ক ছুঁলেন অভিমান্যু ঈশ্বরণ। আরিফুল হকের ব্যাট থেকে এলো ঝোড়ো ফিফটি। প্রায় সাড়ে তিন শ রানের লক্ষ্য তাড়ায় টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর ফিফটি করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন নাসির হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু বৃষ্টি এসে পণ্ড করে দিল তাদের লড়াই।

ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচটা ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ২৯ রানে জিতেছে প্রাইম ব্যাংক। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রাইম ব্যাংক পেয়েছিল ৩৪৪ রানের বড় পুঁজি।

জবাবে শেখ জামালের ইনিংসে ৩৭.১ ওভারে বৃষ্টি নামলে পরে আর খেলা হয়নি। ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে জয়ের জন্য তখন শেখ জামালের দরকার ছিল ২৩৬ রান। তারা করেছিল ৪ উইকেটে ২০৬।

চার ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে প্রাইম ব্যাংক। সমান ম্যাচে তৃতীয় হারে নবম স্থানে আছে প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল।



মঙ্গলবার সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫ রানেই রুবেল মিয়ার (০) উইকেট হারিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। দ্বিতীয় উইকেটে ১৯৪ রানের বড় জুটি গড়েন অধিনায়ক এনামুল ও ভারতীয় ব্যাটসম্যান ঈশ্বরণ।

এ জুটির পথেই এনামুল তুলে নেন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, ১১৮ বলে। সেঞ্চুরির পর ইনিংস আর বড় করতে পারেননি তিনি। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ১২০ বলে ৮ চারে করেন ১০১ রান। আগের ম্যাচে করেছিলেন ১১১ বলে অপরাজিত ১০০।

এরপর জাকির হাসান (০) আর আল আমিন (৮) দ্রতই ফিরলেও ঈশ্বরণ সেঞ্চুরি করে এগিয়ে নেন দলকে। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১২৬ বলে ১০ চার ও এক ছক্কায় ১৩৩ রান করেন ম্যাচসেরা হওয়া ২৩ বছর বয়সি ডানহাতি ব্যাটসম্যান।



দলীয় ২৫৯ রানে ঈশ্বরণের বিদায়ের পর প্রাইম ব্যাংককে সাড়ে তিন শর কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব আরিফুলের। ষষ্ঠ উইকেটে অলক কাপালির সঙ্গে ২৫ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন তিনি। যেখানে কাপালির অবদান মাত্র ১৬। ৭ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ইনিংসটি সাজান কাপালি।

মাত্র ২২ বলে ফিফটি করা আরিফুল অপরাজিত ছিলেন ৬৭ রানে। ৩২ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। শেষ পাঁচ ওভারে প্রাইম ব্যাংক তোলে ৭৮ রান! ২৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে শেখ জামালের সেরা বোলার তানভীর হায়দার।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিলেন ইমতিয়াজ হোসেন ও ফারদিন হাসান। ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তারা। কিন্তু ৪২ থেকে ৫৯, ১৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শেখ জামাল। ইমতিয়াজ (২৬) ও ফারদিনকে (১৭) ফেরান অফ স্পিনার নাহিদুল ইসলাম। মনির হোসেনের শিকার ভারতীয় ব্যাটসম্যান পুনীত বিস্ট।

চতুর্থ উইকেটে ১১৬ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান নাসির হোসেন ও নুরুল। ৬০ বলে ফিফটি করে নাসির এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরি দিকে। ৭৬ রানে তাকে থামান বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। ৭৬ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান নাসির।



এরপর নুরুলও তুলে নেন ফিফটি, ৬২ বলে। তানভীরকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন অধিনায়ক। জয়ের জন্য শেষ ১৩ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখে তাদের দরকার ছিল ১৪১ রান। কিন্তু ৩৮তম ওভারে প্রথম বলের পরই নামা বৃষ্টিতে আর খেলা হয়নি। তখন নুরুল ৬৫ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ৫৪ ও তানভীর ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ মার্চ ২০১৯/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়