ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

নিউইয়র্ক সিনেটে ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ আইন পাস

তোফাজ্জল লিটন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৯, ১৩ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নিউইয়র্ক সিনেটে ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ আইন পাস

তোফাজ্জল লিটন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে : নিউইয়র্ক সিনেটে  ‘বালাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ আইন পাস হয়েছে। এ বছর  থেকে নিউইয়র্ক স্টেটে ২৫ সেপ্টেম্বর ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ পালিত হবে।

নিউইয়র্ক স্টেট ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে দিনটিকে।মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিত সাহার পক্ষ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি আলবেনিতে অনুষ্ঠিত সিনেট অধিবেশনে এই বিলটি উত্থাপন করেন টবে আন স্তাভাস্কি। সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হওয়ার পরে ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ রেজ্যুলেশন ৩২২ নাম্বারের আইনটি ঘোষণা করেন নিউইয়র্ক স্টেটের গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো।

বালাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে হিসেবে ২৫ সেপ্টেম্বরকে বাছাই করা প্রসঙ্গে দিবসটির স্বপ্নদ্রষ্টা বিশ্বজিত সাহা বলেন, ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে  প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন। তাই দিনটি বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষার জন্য  খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ২০২১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। তার আগে ২৫ সেপ্টেম্বরকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ ঘোষণা করে জাতির জনককে শ্রদ্ধা জানাবার গৌরবতম অধ্যায় হবে বলে মনে করি।

বিশ্বজিত সাহা আরো বলেন, বিশ্বে প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশের অবস্থান নবম। বাংলাদেশ পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম দেশ, যে দেশের এত বিপুলসংখ্যক প্রবাসী রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বর্তমানে প্রায় ৮৮ লাখ বাংলাদেশি বাস করেন। বাংলাদেশ জন্মের ৪৭ বছরেও এ বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর জন্য আলাদা কোনো দিবস ছিল না। আজ প্রবাসীদের জন্য একটি দিবস পেয়েছি। সকল প্রবাসীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন,  ২৫ সেপ্টেম্বরকে যেন ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ হিসেবে সংসদে আইন আকারে পাশ করা হয়। যেমন আইন পাশ করা হয়েছে নিউইয়র্ক স্টেটে।

সিনেট অফিস থেকে পাশ হওয়া রেজ্যুলেশনটি ১২ মার্চ মুক্তধারা ফাউন্ডেশনে পাঠানো হয়। আগামী ১৭ মার্চ নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য শিশু-কিশোর মেলায় এই রেজ্যুলেশনটি প্রদর্শিত হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন গত ৩ বছর ধরে এই শিশু-কিশোর মেলা আয়োজন করে আসছে।

তথ্য অনুসন্ধান করে জানা যায়, বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে আইন পাশ করার লক্ষ্যে বিশ্বজিত সাহা ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথম সিনেটর টবে আন স্তাভাস্কির কাছে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের জানুযারি মাসে সিনেট অধিবেশনে এই প্রস্তাব উত্থাপিত হলে রিপাবলিকান সিনেটরদের বিরোধিতার মুখে বাতিল হয়ে যায়। পরে বিশ্বজিত সাহা ২০১৭ সালের  জানুয়ারি মাসে সিনেটর হোজে প্যারাল্টার সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি তাকে জানান। সিনেটর আশ্বাস দেন। ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর হোজে পেরাল্টা একটি প্রক্লেমেশনে ২৫ সেপ্টেম্বরকে ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ হিসেবে ঘোষণা করেন। ইতোপূর্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রেজ্যুলেশটিও সিনেটর হোজে প্যারাল্টার প্রস্তাবনায় নিউইয়র্ক স্টেটে পাস হয়েছিল এবং তা স্টেট ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।




রাইজিংবিডি/নিউইয়র্ক/১৩ মার্চ ২০১৯/লিটন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়