ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কুড়িগ্রামেও স্বাদু পানির গলদা চিংড়ি

বাদশাহ সৈকত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৫১, ২৪ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কুড়িগ্রামেও স্বাদু পানির গলদা চিংড়ি

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা: স্বাদু পানিতে চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় এবারও কুড়িগ্রামে মৎস্য বীজ খামারে উৎপাদিত গলদা চিংড়ির পি.এল (রেনু) বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

মৎস্য চাষিদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে রেনু বিক্রির উদ্বোধন করা হলো বুধবার। উদ্বোধনকালে কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা স্বাদু পানিতে গলদা চিংড়ি চাষে সফলতা পেতে শুরু করেছি। কৃষকরাও আগ্রহী হয়ে উঠছে। আশা করছি আগামীতে এ জেলায় ব্যাপকহারে গলদা চিংড়ি চাষ শুরু হবে।’

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, কুড়িগ্রাম মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার ব্যবস্থাপক মুসা কালিমুল্ল্যা, গাইবান্ধা মৎস্য খামার ব্যবস্থাপক গোলজার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মৎস্যচাষিরা।

গলদা চিংড়ির রেনু কিনতে আসা উলিপুরের আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি ১৫/১৬ বছর থেকে কার্প জাতীয় মাছের চাষ করছি। আমি শুনেছি গলদা চিংড়ি মূল্যবান মাছ আর এটা দেশের দক্ষিনাঞ্চলে হয়। পরে শুনলাম কুড়িগ্রাম মৎস্য খামারে এর রেনু বিক্রি হচ্ছে, এজন্য কিনতে এসেছি। আর গত বছর যারা চিংড়ি চাষ করে লাভবান হয়েছেন তাদের কাছেও খোঁজ খবর নিয়েছি। আশা করছি, আমি কার্প মাছের সাথে গলদা চিংড়ি চাষ করে লাভবান হতে পারবো।’

আরেক মৎস্যচাষি তারা মিয়া বলেন, ‘গত বছর কার্প মাছের সাথে একই পুকুরে গলদা চিংড়ি চাষ করে লাভবান হয়েছি। এবার চাষ করার জন্য রেনু কিনতে এসেছি।’

কুড়িগ্রাম মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার সূত্রে জানা গেছে, তারা বরগুনার আমতলী ও পায়রা নদী থেকে মা চিংড়ি এবং পেকুয়া, চকরিয়া কক্সবাজার থেকে লবনাক্ত পানি সংগ্রহ করে আনা হয়। এরপর লবনাক্ত পানিতে স্বাদু পানি মিশিয়ে সেখানে মা মাছের ডিম ফোটানো হয়। পরে সেই ডিম স্বাদু ও লবনাক্ত পানির মিশ্রনে ২৮ থেকে ৩২ দিন পর্যন্ত প্রক্রিয়াজাত করে রেনুতে পরিণত করা হয়।



রাইজিংবিডি/কুড়িগ্রাম/২৪ মে ২০১৮/বাদশাহ্ সৈকত/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়