ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি কেমন যাবে ২০১৮ সালে

ফজলে আজিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:১৭, ১ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি কেমন যাবে ২০১৮ সালে

প্রতীকী ছবি

ফজলে আজিম : বছরের শুরুতে প্রাচ্য রাশিচক্র মতে, চন্দ্র আছে বৃষ রাশিতে, মঙ্গল ও বৃহস্পতি তুলা রাশিতে, বুধ বৃশ্চিকে, শনি, রবি, শুক্র ও প্লুটো ধনু রাশিতে রাহু ও কেতু যথাক্রমে কর্কট ও মকর রাশিতে ইউরেনাস মেষ রাশিতে নেপচুন আছে কুম্ভ রাশিতে।

বছরের শুরুতে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি কেমন যেতে পারে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

জীবনযাত্রা

আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি জীবনযাত্রার মান বাড়বে। সব ধরনের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আগের চেয়ে বাড়বে। অনেক উন্নয়নমূলক কাজে বড় ধরনের আর্থিক বাজেট প্রণয়ণ হতে পারে। সার্বিকভাবে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি কিছুটা চ্যালেঞ্জর মুখে থাকবে। খাদ্য উৎপাদন ঘাটতি মোকাবেলায় সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজন হবে। দ্রব্যমুল্যের লাগাম টেনে ধরা কঠিন হবে। খাদ্য সংকট দেখা যেতে পারে। বিদেশ থেকে আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রাপ্তির যোগ রয়েছে।

পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য

মাতৃভূমি বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য সুনাম ও সাফল্য অব্যাহত থাকবে। দ্বিপাক্ষীয় চুক্তি ও চলমান আলোচনা সত্ত্বেও চলমান রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান বিলম্বিত হবে।

বৈদেশিক বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্তরা নানারকম ব্যবসায়িক সুযোগ সুবিধা লাভ করবেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। নতুন নতুন দেশে বাংলাদেশের পণ্য ও সেবা সম্প্রসারিত হবে।

চলতি বছরে বৈদেশিক মুদ্রার আয় অতীতের রেকর্ড অতিক্রম করতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ অতীতের রেকর্ড অতিক্রম করতে পারে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ হবে।

রাজনীতি

দেশের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ও পরিস্থিতি মোটামুটি ভালো থাকবে। বছরের শেষার্ধে ইসলামী রাজনৈতিকদল সমূহের কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে। বছর জুড়ে সংসদীয় বিরোধীদলের সঙ্গে সম্পর্ক ভালোমন্দ মিলিয়ে যাবে। কখনো ভালো কখনো মন্দ সময় কাটবে। অক্টোরের পর থেকে সংসদীয় বিরোধীদলের সঙ্গে সম্পর্ক কম ভালো যাবে।

তবে ৯ মার্চ থেকে ১০ জুলাই দেশের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাপারে বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। ১১ অক্টোবর থেকে বছরের বাকিটা সময় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময়ে সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সচেতনতার সঙ্গে পরিচালনার প্রয়োজন হবে। এ সময়ে জনসাধারণের নিরাপত্তার ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন আছে।

বর্তমান সরকার প্রধানের জন্য চলতি বছর চ্যালেঞ্জিং হবে। বিদেশ ভ্রমণ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ব্যাপারে বাড়তি সচেতনতার প্রয়োজন আছে। সরকার দলের কারো কারো আচরণ ও কথাবার্তা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে উসকে দিতে পারে।

আর্থিক ব্যবস্থা

ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চলতি বছর খুব একটা ভালো নাও যেতে পারে। কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়িক লোকশান ও অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে সরকারকে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রয়োজন হতে পারে।


যোগাযোগ ব্যবস্থা

দেশের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়নে সরকারের নানামুখী উন্নয়ন কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে। কিছু কিছু স্থানে প্রশাসনিক কাজে ধীরগতি ও কিছু দুষ্ট লোকের অপকর্মের ফল জনগণকে ভোগ করতে হবে। আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা যেতে পারে। তীব্র কুয়াশা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সামায়িকভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হতে পারে।

এভিয়েশন খাতে বাংলাদেশের জন্য নতুন কোনো সাফল্য আসতে পারে। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বছরটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। চলমান অধিকাংশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলতি বছরেই সমাপ্ত হবে এবং জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

সীমান্তে অপরাধ

সীমান্ত পথে অবৈধ পণ্যের বাণিজ্য বেড়ে যেতে পারে। সড়ক, নৌ ও রেলপথে মাদক ও অবৈধ পণ্যের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে সরকারি কড়া নজরদারির প্রয়োজন হবে।

শিক্ষা

দেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কার অব্যাহত থাকবে। প্রযুক্তির অপব্যবহার ও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সম্পৃক্ততা শিক্ষাক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন কোনো নীতিমালা সংযোজনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছর প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার্থে দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পাবে।

ক্রীড়া ও সংস্কৃতি

ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সাফল্য ও সুনাম বাড়বে। বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়ায় আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের সাফল্য অব্যাহত থাকবে। মাঠের খেলা নিয়ে কেউ কেউ জুয়া কিংবা অন্যান্য অপকর্মে সম্পৃক্ত হতে পারেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বিশেষ সতর্ক অবস্থানের প্রয়োজন হতে পারে। বছর জুড়েই দেশের সব ক্রীড়া সংগঠনগুলোর কার্যক্রম বাড়বে।

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নমূলক কাজের সুফল সাধারণ মানুষের নাগালে চলে আসবে। দেশের স্বাস্থ্য সেবায় নতুন নতুন সেবা সংযুক্ত হবে। যা সাধারণের মধ্যে স্বস্তি নিয়ে আসবে। নতুন কোনো রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যেতে পারে। বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে উন্নত সেবার পরিধি বাড়বে।

কর্মসংস্থান

তথ্যপ্রযুক্তিখাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প আগের চেয়ে জোরদার হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারণ তথ্যপ্রযুক্তির সুফল ভোগ করবে এবং এর মাধ্যমে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও রেমিটেন্স প্রাপ্তির দিক থেকে চলতি বছর স্মরণীয়ে হয়ে থাকবে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ট্রেড ইউনিয়নের সুফল ভোগ করবে।

সবমিলিয়ে ২০১৮ সাল বাংলাদেশের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নানা সাফল্য ও বৈচিত্রপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হবে।

- লেখক : অ্যাস্ট্রলজার অ্যান্ড সাইকিক কনসালটেন্ট

(জ্যোতিষ রত্ম উপাধি ও গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত)

ইমেইল: [email protected]



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ জানুয়ারি ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়