ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ফরিদপুরে বারি আম-৪ চাষে সফলতা

মো. মনিরুল ইসলাম টিটো || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৮, ২৮ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফরিদপুরে বারি আম-৪ চাষে সফলতা

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বারি আম-৪ এর বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদে সফলতা পেয়েছেন চাষিরা।

চারা রোপণের দেড় বছরের মাথায় আম তুলতে পেরে খুশি তারা। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত দেশের প্রথম শংকর জাতের বারি আম-৪। দেশি নাবি জাত আশ্বিনার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রোরিডা থেকে সংগৃহীত রঙিন আমের সংমিশ্রনে উদ্ভাবন করা হয় বারি আম-৪ জাত। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৯৩ সালে বারি আম-৪ উদ্ভাবন করে। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে চাষ শুরু হয়। 

কয়েকবছর ধরে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকভাবে চাষিরা বারি আম-৪ চাষ শুরু করেছেন। একই জমিতে আম চাষের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে বিভিন্ন ধরনের রবি শষ্য ও শাক-সবজি উৎপাদন করছেন। এতে লাভবান হচ্ছেন তারা।

আম চাষি সরদার অহিদুজ্জামান বলেন, নগরকান্দা কৃষি অফিসারের পরামর্শে দেড় বছর আগে দুই বিঘা জমিতে বারি আম-৪, বারি আম-৮, ব্যানানা জাতের আমের বাগান শুরু করেন। একই সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে ধান, গম, তিল চাষ করছেন। ফলে একই জমিতে আমসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করতে পারছেন। এতে লাভও হচ্ছে ভালো।

তিনি জানান, আমের চারা রোপণের দেড় বছরের মাথায় গাছে প্রচুর আম ধরেছে। আশা করছেন, আম বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ বাজার থেকে যখন সব আম শেষ হয়ে যাবে, তখন তার আম পাকা শুরু করবে। তখন আমের চাহিদাও থাকবে, দামও ভালো পাবেন। তিনি জানান, এলাকার অনেকেই তার বাগান দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে বাগান করতে আগ্রহী হচ্ছেন।

নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আশুতোষ কুমার বিশ্বাস বলেন, দ্বিতীয় শষ্য বহুমুখী প্রকল্পের আওতায় তারা বারি আম-৪, বারি আম-৮, ব্যানানা ও গোরমতি নাবি জাতের আম বাগান করতে চাষিদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছেন। সেই কারণে নগরকান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেড় বছরের মধ্যে ৩০টি বাগান স্থাপিত হয়েছে। এ ছাড়া বসতবাড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে ২ হাজার ৫০০ চারা রোপণ করা হয়েছে। চারা রোপণের দেড় বছরের মাথায় আম তুলতে পেরে খুশি চাষিরা। বারি আম-৪ এর মুকুল আসে ফাল্গুন মাসে। আর আম পাকে শ্রাবণ মাসে। প্রতিটি ফলের ওজন ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম হয়ে থাকে। কাঁচা অবস্থায় হালকা সবুজ আর পাকলে হলুদ। রসাল আঁশ বিহীন আমটি উচ্চ ফলনশীল।

তিনি জানান, শুধু বারি আম-৪ নয়, এই অঞ্চলের চাষিরা এখন বারি আম-৮, ব্যানানা, গোরমতি জাতের বাগানও করছেন। চাষিদের সাফল্য দেখে অনেকে চলতি বছর নতুন বাগান করছেন। এইভাবে আম চাষ অব্যাহত থাকলে আগামী ১০ বছরে নগরকান্দা উপজেলার উৎপাদিত আম দিয়েই ফরিদপুরের আমের চাহিদা অনেকটা পূরণ করা সম্ভব বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।

 

 

রাইজিংবিডি/ফরিদপুর/২৮ জুন ২০১৭/মো. মনিরুল ইসলাম টিটো/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়