ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নিপার মাথায় আঘাতের চিহ্ন, মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন

তানজিমুল হক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১০, ২৩ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নিপার মাথায় আঘাতের চিহ্ন, মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সেখেরপাড়া বারোমাইলে আত্মহত্যাকরা দম্পতির লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) মর্গে লাশ দুটির ময়নাতদন্ত করা হয়। রামেকের সহকারী অধ্যাপক এনামুল হক ময়নাতদন্ত করেছেন।

পরে তিনি জানান, নিহত গৃহবধূ জিন্নানুন নেশা ওরফে নিপার (২১) মাথায় দুটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মাথার ডান ও বাম পাশে থাকা এ দুটি চিহ্ন কয়েক ইঞ্চি লম্বা। সাধারণত লাঠির আঘাতে এমন চিহ্ন হয়। তবে ওই আঘাতে নিপার মাথা থেকে রক্ত বের হয়নি। তার গলায় ফাঁসের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

রোববার বিকেলে নিপা ও তার স্বামী সামিউল ইসলাম ওরফে সনির (২৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সনির বাবার নাম শহিদুল ইসলাম। আর নিপা উপজেলার ফরাদপুর গ্রামের আবু জিন্নাতের মেয়ে। উদ্ধারের সময় নিপার লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল। আর নিপার ওড়নায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সনির লাশ ঝুলছিল ঘরের আড়ায়।

এই দম্পতির লাশ উদ্ধারের সময় সনির বাবা শহিদুল ইসলাম এবং মা আনোয়ারা বেগম বাড়িতে ছিলেন না। ময়নাতদন্তের পর সনির আত্মীয়স্বজন মর্গ থেকে লাশ গ্রহণ করেছেন। নিপার লাশ তার পরিবারের স্বজনদের বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

এই দম্পতির লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আবদুল লতিফ। তার প্রতিবেদনে লাশ দুটির গলায় ফাঁসের চিহ্নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শরীরের অন্য কোনো স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়।

ময়নাতদন্তে নিপার মাথায় আঘাতের চিহ্নের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল লতিফ বলেন, ‘এই আঘাত আমি দেখিনি। অনেক কিছুই খালি চোখে দেখা যায় না। সে জন্যই লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার যাবে। সেটি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

তিনি জানান, সনি ও নিপার মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। রোববার রাতে নিপার বাবা আবু জিন্নাত বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। নিপার শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক থাকায় বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে। ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত সনি মোবাইল ফোন মেরামতের কাজ করতেন। আগের দুই স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর প্রায় এক বছর আগে তিনি নিপাকে বিয়ে করেন। তারপর স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বাবা-মায়ের সংসারে থাকতেন।


 

রাইজিংবিডি/রাজশাহী/২৩ অক্টোবর ২০১৭/তানজিমুল হক/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়