ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

২২ বছর পর বিচার পেল তন্দ্রা, ৫ জনের ১৩ বছর কারাদণ্ড

নজরুল মৃধা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০১, ২১ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২২ বছর পর বিচার পেল তন্দ্রা, ৫ জনের ১৩ বছর কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : আত্মহত্যার ২২ বছর পর বিচার পেল ঢাকার মিরপুর আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রুমান আফরোজ তন্দ্রা। শ্লীলতাহানি, মারধর ও আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জাবিদ হোসেন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মানিক, রতন, রানা, বাবলা, মালেকা।  এদের মধ্যে দুইজন পলাতক থাকলেও বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে ঢাকার মিরপুর আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রুমানা আফরোজ তন্দ্রা রংপুরের বরার্টসনগঞ্জ বাবুপাড়া এলাকায় তার মায়ের বাসায় আসেন।  এ সময় একই এলাকার মানিক, রতন, বাবলা ও রানাসহ বেশ কয়েকজন যুবক মিলে তাকে উত্যক্ত করত। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পাশ্র্ববর্তী দোকানে দিয়াশলাই আনতে গেলে আসামিরা জোরপূর্বক তন্দ্রার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এতে প্রতিবাদী তন্দ্রা ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি থেকে কুড়াল নিয়ে এসে আসামিদের ওপর আঘাত করার চেষ্টা করলে আসামিরা তাকে প্রকাশ্যে মারধর করে, তার গায়ের কাপড় ছিঁড়ে দেয় এবং তাকে অপহরণের চেষ্টা করে। গ্রামের মানুষের সামনে এভাবে তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও মারধর করার ঘটনায় তন্দ্রা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। ওই দিনই আত্মহত্যা করে সে।

তন্দ্রার মৃত্যুর ঘটনায় মা মাসুদা চৌধুরী বাদি হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এবং চার্জশিট পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার আদালত পাঁচজনের প্রত্যেককে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। তাদের অর্থদণ্ডও করা হয়।

এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি জাহাঙ্গীর আলম তুহিন জানান, দেরিতে হলেও এই রায়ে বাদীপক্ষ ন্যায়বিচার পেয়েছেন। এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট।



রাইজিংবিডি/রংপুর/২১ মে ২০১৯/নজরুল মৃধা/সাইফুল/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়