ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

হাসপাতালে ভুল ইনজেকশন : মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে শিক্ষার্থী

বাদল সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ২১ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হাসপাতালে ভুল ইনজেকশন : মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে শিক্ষার্থী

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভুল ইনজেকশন পুশ করায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মরিয়ম সুলতানা মুন্নি। নার্স রাশিদার দেওয়া ভুল ইনজেকশনের কারণে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় তাকে খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান ওই নার্স রাশিদা।

ভুল ইনজেকশন পুশের শিকার মরিয়ম সুলতানা মুন্নি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের মো. মোশারফ হোসেন বিশ্বাসের মেয়ে।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. মোশারফ হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘পিত্ত থলির পাথর জনিত কারণে তিন মাস ধরে আমার মেয়ে মরিয়ম সুলতানা মুন্নিকে ডাক্তার তপন কুমার মণ্ডলের কাছে দেখানো হয়। বিভিন্ন সময় তিনি আমার মেয়েকে ঠিকভাবে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন না। নয় দিন আগে পরীক্ষা করতে ঢাকায় পাঠান। আমরা পরীক্ষা করেও নিয়ে আসি। কিন্তু, কোনো চিকিৎসা না পেয়ে আমার মেয়েকে সোমবার গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে দেখভাল করেন ওই ডাক্তার তপন কুমার মণ্ডল।’

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মেয়ের অপারেশন করার দিন ধার্য করা হয়। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালে নার্স রাশিদা আমার মেয়েকে ইনজেকশন দিতে যান। কিন্তু তাকে মানা করলেও আমাদের গালমন্দ করে ভুল করে এনেসথেশিয়া ইনজেকশন দিয়ে দেন। এ সময় আমার মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকায় রেফার্ড করার ঘোষণা দেন।’

মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে আমার মেয়েকে খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাকে ঢাকা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ’

এ ঘটনায় নার্স হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে গেলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘কী করে একজন সিনিয়র নার্স ভুল ইনজেকশন পুশ করলেন এটা আমার বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত শেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। তাই রোগী যেন ভাল ট্রিটমেন্ট পায় সেজন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। ’

 

 

রাইজিংবিডি/গোপালগঞ্জ/২১ মে ২০১৯/বাদল সাহা/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়