পাকিস্তানকে উড়িয়ে শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজের
আবু হোসেন পরাগ : বিশ্বকাপের আগে টানা ১০ ওয়ানডেতে হার। পাকিস্তান হারের বৃত্ত ভাঙতে পারল না বিশ্বকাপেও। উল্টো চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় সঙ্গী করল আরেকটি হার। পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শুক্রবার দুই দলের প্রথম ম্যাচটি শেষ হয়েছে মাত্র ৩৫.২ ওভারেই, ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে ৭ উইকেটে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসারদের গতি আর বাউন্সে ২১.৪ ওভারে পাকিস্তান অলআউট হয় মাত্র ১০৫ রানে। ক্রিস গেইলের ঝোড়ো ফিফটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেটি পেরিয়ে যায় ২১৮ বল বাকি থাকতেই।
ট্রেন্ট ব্রিজের মেঘলা আবহাওয়ায় এদিন টস জিতে বোলিং নিতে একটুও ভাবতে হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে। পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ জানান, টস জিতলে তিনিও বোলিং নিতেন।
তৃতীয় ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সফলতা এনে দেন শেলডন কটরেল। লেগ স্টাম্পের বলে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমাম-উল-হক। পঞ্চম ওভারে আন্দ্রে রাসেলের বাউন্সার পুল করতে গিয়ে বল স্টাম্পে টেনে আনেন আরেক ওপেনার ফখর জামান।
এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। রাসেল নিজের এক ওভার পর শর্ট বলে ফেরান হ্যারিস সোহেলকে। ওশানে টমাসের অফ স্টাম্পের বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে উইকেটকিপার শাই হোপের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরেন বাবর আজম।
হোল্ডার একই ওভারে ফেরান সরফরাজ আর ইমাদ ওয়াসিমকে। সরফরাজের উইকেটটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেয়েছে রিভিউ নিয়ে। টিকতে পারেননি শাদাব খান আর হাসান আলীও। মোহাম্মদ হাফিজ নেমেছিলেন ছয় নম্বরে। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে হাফিজ শিকার হন টমাসের।
তখন ৮৩ রানেই নেই ৯ উইকেট। একশর আগেই অলআউট হওয়ার লজ্জার সামনে পাকিস্তান। দুই ছক্কা ও এক চারে সেই লজ্জা এড়ান শেষ মুহূর্তে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া পেসার ওয়াহাব রিয়াজ।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১১ বলে ১৮ রান করেন ওয়াহাব। মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে শেষ উইকেটে ওয়াহাবের ২২ রানের জুটিই ইনিংস সর্বোচ্চ!
পাকিস্তানের ইনিংসে দুই অঙ্কে যেতে পারেন মাত্র চারজন। ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ইনিংস গুঁড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন টমাস। ৪২ রানে ৩ উইকেট নেন হোল্ডার। রাসেল ৪ রানে ২টি এবং কটরেল ১৮ রানে নেন একটি উইকেট।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় চার ওভারেই ক্রিস গেইল ও শাই হোপ তোলেন ৩২ রান। এরপর অবশ্য জোড়া ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আমির নিজের পরপর দুই ওভারে ফেরান হোপ আর ড্যারেন ব্রাভোকে।
তবে গেইল অব্যাহত রাখেন ঝোড়ো ব্যাটিং। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন মাত্র ৩৩ বলে। এরপরই অবশ্য গেইলকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন আমির। আর কোনো বিপদ হতে দেননি নিকোলাস পুরান ও শিমরন হেটমায়ার। ১৯ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ রান করেন পুরান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২১.৪ ওভারে ১০৫ (ইমাম ২, ফখর ২২, বাবর ২২, হ্যারিস ৮, সরফরাজ ৮, হাফিজ ১৬, ওয়াসিম ১, শাদাব ০, হাসান ১, ওয়াহাব ১৮, আমির ৩*; টমাস ৪/২৭, হোল্ডার ৩/৪২, রাসেল ২/৪, কটরেল ১/১৮)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩.৪ ওভারে ১০৮/৩ (গেইল ৫০, হোপ ১১, ব্রাভো ০, পুরান ৩৪*, হেটমায়ার ৭*; আমির ৩/২৬)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ওশানে টমাস।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ মে ২০১৯/পরাগ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন