ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণ পাবেন কৃষকরা

আশরাফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৫, ২৭ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণ পাবেন কৃষকরা

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বার্ষিক নীতিমালা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এ নীতিমালা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান। এ সময় বাংলাদেশে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নীতিমালায় বলা হয়, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক ২০ কোটি ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) ৭২০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করা হবে।

এ ছাড়া কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহের জন্য ৯ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য ১০ হাজার ৮১০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ হারে কৃষি ঋণ পাবেন কৃষকরা। আগে এই হার ছিল ১০ শতাংশ। ব্যাংকগুলোর বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতে বিতরণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।

এ ছাড়া নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, মৎস্য সম্পদ খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণের পাশাপাশি মেয়াদি ঋণ বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ, ক্ষুদ্র, প্রান্তিক কৃষক ও বর্গাচাষীসহ অন্যান্য কৃষকদেরকে সহজ পদ্ধতিতে একক/গ্রুপভিত্তিতে কৃষি ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করণ, কৃষি খাতের অগ্রযাত্রায় যে সকল সবজি ও ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবিত হয়েছে সেগুলির উৎপাদনে ব্যাংক ঋণ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে কাসাভা, ব্রোকলি এবং স্কোয়াসকে ফসলভিত্তিক ঋণ নিয়মাচারে অন্তর্ভুক্তকরণ, ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির নিমিত্তে আলু চাষীদের ফসল উৎপাদনের পর ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত ৩ মাস গ্রেস পিরিউড প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ, অগ্রাধিকার প্রাপ্ত খাত হিসেবে সকল প্রকার কৃষি ও পল্লী ঋণে নির্ধারিত সুদ ব্যতিত অন্য কোনো প্রকার চার্জ, প্রসেসিং বা মনিটরিং ফি ইত্যাদি ধার্য্য না করার নির্দেশনা প্রদান ইত্যাদি।

নীতিমালা ঘোষণাকালে ডেপুটি গভর্নর বলেন, কৃষি ও পল্লী খাতে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষে কৃষি ঋণের কর্মসূচি গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়ের বৈষম্য দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

প্রসঙ্গত, গত অর্থবছরে ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩৫ জনের মাঝে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। টাকার অংকে যার পরিমাণ ২০ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকার।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ জুলাই ২০১৭/আশরাফ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়