ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ওয়ালটন গ্রুপের নববর্ষ উদযাপন

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪১, ১৫ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ওয়ালটন গ্রুপের নববর্ষ উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। তাই এ চিরায়ত উৎসব আয়োজনে কোনো কমতি থাকে না পুরো জাতির। উৎসবমুখর পরিবেশে নতুন বাংলা বছরকে বরণ করে নিচ্ছে বাঙালি জাতি।

একটি অসাম্প্রদায়িক উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সোনার মানুষ হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে বাঙালি জাতি বরণ করছে ১৪২৫ বাংলা নববর্ষকে। শনিবারের সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শুরু হয়েছে এই উদযাপন। আজও থেমে নেই উৎসব-আয়োজন।

নববর্ষ উদযাপনের এই ঐতিহ্যে আজ রোববার সামিল হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেক্ট্রনিক্স, অটোমোবাইলস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। সঙ্গে ছিল দেশের অন্যতম বৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর রবি।



বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ওয়ালটন গ্রুপের করপোরেট অফিসে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ বরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিচালক, ওয়ালটন গ্রুপ  এস এম মাহবুবুল আলম। আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (পলিসি, এইচআরএম অ্যান্ড অ্যাডমিন) এস এম জাহিদ হাসান, নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম সরকার, রবির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আজমত উল্লাহ খানসহ ওয়ালটন গ্রুপের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, করপোরেট অফিসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং রবির বিভিন্ন কর্মকর্তা। অনুষ্ঠানের অন্যতম আর্কষণ ছিলেন মডেল নোবেল।

দুপুর ২টায় এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। দুটি পর্বে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রথম পর্বে ছিল আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব। পরবর্তী পর্বে ছিল বাঙালি লোকজ সংস্কৃতির বাউল গান।

রোববার বিকেলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যেন গ্রামের পরিবেশ নেমে এসেছিল ওয়ালটন গ্রুপের কার্যালয়ে। ওয়ালটন পরিবারের এই আয়োজনে ছিল রং-তুলির আঁচড়, ছিল গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন হাড়ি, ছিল পিঠার থালা।



বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা আর সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এ বর্ষবরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

প্রসঙ্গত, মোঘল সম্রাট আকবর ‘সুবে বাঙ্গালা’ বা বাংলা অঞ্চলে কর আদায়ের সুবিধার্থে ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা পঞ্জিকা নতুন করে চালু করেন। সে সময় পয়লা বৈশাখকে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন হিসেবে ধরা হয়। সেই থেকে পয়লা বৈশাখে বাঙালি নববর্ষ উদযাপন করে আসছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও দেশের সবচেয়ে বড় এই সাংস্কৃতিক উৎসবের আনন্দ-আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতি বছরের মতো এ বছরেও দেশজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান আয়োজন করে।



রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে গতকাল সকাল ৯টায় বের করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক  আখতারুজ্জামান এ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষরা। এ বছর শোভাযাত্রার মূল বিষয় ছিল ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’। বাউল সম্রাট লালন শাহর গান থেকে নেওয়া এই বাক্যটির মাধ্যমে মানবতার জয়গান গাওয়া হয় শোভাযাত্রায়।

ভোর থেকেই উৎসবমুখর জনতা রঙিন পোশাকে সমবেত হতে থাকেন শাহবাগ, রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকায়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ এপ্রিল ২০১৮/হাসান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়