ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নড়িয়ায় পদ্মার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার নির্দেশ

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ১৮ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নড়িয়ায় পদ্মার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার নির্দেশ

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাত থেকে সহায়তা করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা তফসিলি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানা গেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলাসহ কয়েকটি উপজেলা পদ্মা নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছে। এতে বাজার, ঘর-বাড়ি, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ব্রিজ-কালভার্ট ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ সীমাহীন দুর্দশার মাঝে দিন কাটাচ্ছে। এ অবস্থায় করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান করতে হবে।

পদ্মার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের ঋণের শর্ত শিথিল:
এদিকে, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের ঋণের শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।

ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলাসহ কয়েকটি উপজেলা পদ্মা নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছে। এতে বাজার, ঘর-বাড়ি, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ব্রিজ-কালভার্ট ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনকবলিত এলাকার ঋণগ্রহীতা কৃষি এবং এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধে সমস্যা হবে। তাই নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফিরিয়ে আনতে তাদের পুনর্বাসনে আর্থিক নীতি সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো।

নীতি সহায়তার মধ্যে রয়েছে- নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও উদ্যোক্তারা যাতে ঋণখেলাপিতে পরিণত না হন সে লক্ষ্যে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে, ক্ষেত্র বিশেষে ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিল করা। সর্বোচ্চ ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডে কৃষি এবং এসএমই খাতের ঋণ পুনঃতফসিল করা। তারা যাতে চাহিদার ভিত্তিতে নতুন ঋণসুবিধা পেতে পারেন সে লক্ষ্যে কোনো অর্থ জমা ছাড়াই পুনঃতফসিল পরবর্তী নতুন ঋণসুবিধা প্রদান।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার নিমিত্তে এবং আবাদযোগ্য (যদি থাকে) স্থানসমূহে কৃষি কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে বিশেষ কৃষিঋণ হিসেবে ৪% রেয়াতি হার সুদে আমদানি বিকল্প ফসলসমূহে (ডাল, তৈলবীজ, মসলা ও ভুট্টা) কৃষি ও পল্লী ঋণ প্রদান।

চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নদীভাঙনে সম্পূর্ণ বিলীন হওয়া নিঃস্ব কৃষকদের ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

নতুন করে কোনো সার্টিফিকেট মামলা দায়ের না করা। একই সঙ্গে দায়েরকৃত সার্টিফিকেট ছয় মাস বন্ধ রেখে প্রয়োজনে সোলেনামার মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি করার পরামর্শ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেউ যাতে নতুন ঋণ পেতে কোনো হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে নিবিড়ভাবে তদারকির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব পুনঃতফসিলিকরণ ও পুনঃতফসিল পরবর্তী নতুন ঋণসুবিধা আগামী ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ অক্টোবর ২০১৮/হাসান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়