ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ফুল খাতের বিকাশে নীতিমালা প্রণয়ন আবশ্যক

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০০, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফুল খাতের বিকাশে নীতিমালা প্রণয়ন আবশ্যক

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেছেন, বাংলাদেশে ফুল শিল্প অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এ শিল্পের বিকাশে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন আবশ্যক।

মঙ্গলবার রাজধানীর ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশে ফুল শিল্পের সম্ভাবনা নিরূপণের লক্ষ্যে ইউএসএআইডি এগ্রিকালচারাল ভ্যালু চেইনস (এভিসি) প্রকল্প এবং বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সহযোগিতায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আগামী ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাওয়ার এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্স ২০১৮' আয়োজন করছে। এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআইর সভাপতি আবুল কাসেম খান জানান, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের (আইটিসি) তথ্য অনুযায়ী, সারা পৃথিবীতে ফুলের বাজার প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৮ সালে বিশ্বে ফুলের রপ্তানির বাজার হবে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৮৬ হাজার মার্কিন ডলারের ফুল রপ্তানি করা হয়। দেশে বর্তমানে সার্বিকভাবে ফুলের বাজার ৮০০-১২০০ কোটি টাকার। এ সম্ভাবনাময় শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এর সাথে জড়িত কৃষক ও উদ্যোক্তাদের স্বল্প হারে ঋণসুবিধা, আধুনিক প্রযুক্তি ও ব্যবহারের প্রশিক্ষণ, উন্নত ও নতুন নতুন জাতের বীজ সরবরাহ, ওয়্যারহাউজ ও কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ এবং সর্বোপরি অবকাঠামো উন্নয়ন একান্ত অবশ্যক।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, প্রয়োজনীয় হিমাগারের অভাবে আমাদের দেশে কৃষি খাতে উৎপাদিত নানাবিধ পণ্যের যোগ্য মূল্য পাচ্ছেন না উদ্যোক্তা ও কৃষকরা। ফুল খাতের বিকাশে হিমাগার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে ওয়্যারহাউজ নির্মাণ প্রয়োজন। ওয়্যারহাউজ নির্মাণকে থ্রাস্ট সেক্টর হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ইউএসএআইডি এগ্রিকালচারাল ভ্যালু চেইনস (এভিসি) প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় আগামী ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য ‘ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাওয়ার এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্স ২০১৮’ এ প্রায় ৭০টি স্টলে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তা তাদের ফুল ও ফুল সংশ্লিষ্ট পণ্য প্রদর্শন করবেন। যেখানে থাইল্যান্ড, ভারত এবং নেপালের ১২টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি ফ্লাওয়ার প্যারেড, বর্ণিল ফুলের বিভিন্ন আঙ্গিকে প্রদর্শনী, ইনস্টলেশন, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পুতুল নাচ, একক ও দ্বৈত সংগীতানুষ্ঠান, দলীয় নাচ এবং বিশেষ ত্রিমাত্রিক ভিডিও চিত্রের প্রদর্শনী থাকবে।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

প্রদর্শনী চলাকালে ‘বাংলাদেশে ফুল খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা’ ও ‘ফুল চাষে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা’ বিষয়ে দুটি সেমিনার হবে।  

ইউএসএআইডির কনসালট্যান্ট এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, কৃষি খাতের অগ্রগতির লক্ষ্যে বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণে সরকারকেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তা হলেই দেশের বেসরকারি খাত বিনিয়োগে আগ্রহী হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ২৩টি জেলায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ৫০ জাতের ফুলের বাণিজ্যিক চাষাবাদ হচ্ছে। স্থানীয় ফুলের বাজার প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ ডিসেম্বর ২০১৮/নাসির/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়