ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

১৬ প্রতিষ্ঠান পেল ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যাওয়ার্ড

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১২, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১৬ প্রতিষ্ঠান পেল ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যাওয়ার্ড

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : নিজ নিজ শিল্প কারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও উৎপাদিত পণ্যে উৎকর্ষতা সাধনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৬টি শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানকে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৭ প্রদান করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম মিলনায়তনে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে প্রধান অতিথি হিসেবে এ পুরস্কার তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুল হালিম।

শিল্পখাতে বিশেষ অবদানের জন্য পঞ্চমবারের মতো এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের জন্য ৬টি ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেড, এনভয় টেক্সটাইলস্ লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিলস্ লিমিটেড।

মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে অকো-টেক্স লিমিটেড, বি আর বি পলিমার লিমিটেড, ন্যাসেনিয়া লিমিটেড। ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রিমিয়াম সুইটস বাই সেন্ট্রাল, মেটাটিউড এশিয়া লিমিটেড, আলীম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে খান বেকেলাইট প্রোডাক্টস, ট্রিম ট্যাক্স বাংলাদেশ।

কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে অধরা পার্লার অ্যান্ড স্পা ট্রেনিং সেন্টার, প্রীতি বিউটি পার্লার এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরিতে রেণউইক, যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোং (বিডি) লিমিটেড, করিম জুট মিলস লিমিটেড ও ন্যাশনাল টিউবস্ লিমিটেড।

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও নবায়নযোগ্য সবুজ জ্বালানি ব্যবহার করে শিল্প কারখানায় সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, শিল্পায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করছে। সরকারের শিল্পবান্ধব নীতি ও উদ্যোগের ফলে দেশে শিল্পায়নের ধারা জোরদার হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতীয় আয়ের শিল্পখাতের অবদান ৩৩ দশমিক ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে ২০২১ সালের মধ্যে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ব্যাংক, বিমা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা পশ্চিম পাকিস্তানি ও বিহারীদের হাতে ছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় আজ বাংলাদেশে বড় বড় শিল্প উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। তিনি শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে শিল্প, সেবা, কৃষিসহ সকলখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকাসহ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ খুব শিগগির আমদানিনির্ভরতা কাটিয়ে রপ্তানিমুখী অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে বাস্তবে রূপায়নে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন তিনি।   

 



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ ডিসেম্বর ২০১৮/নাসির/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়