ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বিটিআরসির টাকা দাবি আইনগত ভিত্তিহীন: গ্রামীণফোন

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৯, ১৬ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিটিআরসির টাকা দাবি আইনগত ভিত্তিহীন: গ্রামীণফোন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) পরিচালিত নিরীক্ষায় ১২ হাজার ৫৭৯ দশমিক ৯৫ কোটি টাকার দাবিকে ‘আইনগতভাবে ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে গ্রামীণফোন।

মঙ্গলবার বিটিআরসিকে দেওয়া এক চিঠিতে গ্রামীণফোন এ ‘যুক্তিহীন অডিট’ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে একটি যুক্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।

বিটিআরসি গত ২ এপ্রিল একটি দাবিনামার মাধ্যমে বিটিআরসিকে ৮ হাজার ৪৯৪ দশমিক ১ কোটি টাকা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ৪ হাজার ৮৫ দশমিক ৯৪ কোটি টাকা পরবর্তী ১০ কর্মদিবসে পরিশোধের জন্য গ্রামীণফোনকে নির্দেশ দেয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বিটিআরসির নিয়োগ করা জেভিসিএ অব তোহা খান জামান অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৯৯৭ থেকে শুরু করে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোনের আয়-ব্যয় নিরীক্ষা করে। এই নিরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে বিটিআরসির দাবি করা ৮ হাজার ৪৯৪ দশমিক ১ কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৭৩ শতাংশই (৬ হাজার ১৯৪ দশমিক ৩ কোটি টাকা) সুদ, যা ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরা হয়েছে।

এর আগে বিটিআরসির ইনফরমেশন অ্যান্ড সিস্টেম অডিটের মাধ্যমে ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোনের কাছে থেকে ৩ হাজার ৩৪ কোটি টাকা পাবে বলে দাবি করা হয়েছিল। আপিল বিভাগ ওই নিরীক্ষকের নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়।

বিটিআরসি ১৯৯৭-২০১১ সালের পূর্ববর্তী নিরীক্ষার দাবি নিয়ে আদালতে একদিকে তাদের আইনগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সালের নিরীক্ষায় এখন ১২ হাজার ৫৭৯ দশমিক ৯৫ কোটি টাকা দাবি করছে। ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময়ের জন্য বিটিআরসি দুটি দাবি করছে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলি বলেন, নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সঙ্গে অনেকবার আলোচনা এবং নিরীক্ষককে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করার পরেও আমাদের যুক্তিগুলো নিরীক্ষা প্রতিবেদনে প্রতিফলিত না হওয়া খুবই দুঃখজনক। নিরীক্ষা চলার পুরো সময়ে আমরা বারবার নিরীক্ষা প্রক্রিয়ার ত্রুটিগুলো তুলে ধরেছি। কিন্তু আমাদের মতামতকে দাবিনামায় সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের আগস্টে গ্রামীণফোনকে নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর আনুষ্ঠানিক জবাব দিতে বলেছিল বিটিআরসি। গ্রামীণফোন নির্ধারিত সময়ে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও যুক্তি দাখিল করে। কিন্তু বিটিআরসি তাদের দাবিনামায় শুধু ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেওয়া গ্রামীণফোনের ব্যাখ্যা আমলে নিয়েছে।

রাজস্ব বোর্ডের পাওনা বিষয়ে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজস্ব বোর্ডের হয়ে টাকা দাবি করার কোনো এখতিয়ার বিটিআরসির নেই। এ পরিস্থিতিতে নিরীক্ষার দাবি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে বিটিআরসিকে একটি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আবারও আলোচনার দাবি জানায় গ্রামীণফোন।

 

 

রাইজিংবিডি /ঢাকা/১৬ এপ্রিল ২০১৯/ইয়ামিন/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়