ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বেনাপোলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার আহ্বান

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৩, ১৭ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বেনাপোলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার আহ্বান

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বাণিজ্য সম্প্রসারণে বেনাপোল বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু রাখার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং কাস্টম হাউস বেনাপোল এর যৌথ উদ্যোগে আমদানি রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজীকরণ শীর্ষক ‘বাণিজ্য সংলাপে’ এ আহবান জানায় ডিসিসিআই।

বুধবার ডিসিসিআই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী এবং ঢাকা চেম্বারের সহসভাপতি ইমরান আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন।

ডিসিসিআই সহসভাপতি ইমরান আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।  ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে এই বেনাপোল বন্দরটি ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে মোট ৪৮৭২.৭২ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে।’

তিনি জানান, বর্তমানে বন্দরের ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন হলেও বেনাপোল বন্দর প্রায় ১.৫ লাখ হতে ২ লাখ মেট্রিক টন পণ্য হ্যান্ডলিং করে থাকে।  বন্দরে পর্যাপ্ত শেড না থাকার ফলে অনেক পণ্যই খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকে, যার ফলে পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হয়।

এ ছাড়া, পণ্য খালাসের বিলম্বের কারণে ব্যবসায়ীদের ব্যাংক সুদের বোঝা বহন করতে হচ্ছে।  প্রতিটি বিল অব এন্ট্রির নির্ধারিত পরিমাণ শুল্ক পরিশোধ ছাড়াও অতিরিক্ত হিডেন কস্টি বহন করতে হচ্ছে, এত করে আমদানিকৃত পণ্যের বাজার মূল্য বাড়ছে।

তিনি যশোর-বেনাপোল সড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ, বন্দরে উচ্চ গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন, বন্দরের জন্য বিশেষায়িত বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিজ্ঞান গবেষণাগারের শাখা স্থাপনের আহ্বান জানান।

মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের পণ্য আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজতর করার লক্ষ্যে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ একটি বিশেষ সফটওয়্যার এরই মধ্যে প্রবর্তন করেছে, যা বিশ্বব্যাংকের তরফ থেকেও স্বীকৃতি পেয়েছে।  কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ চার ধাপের একটি দ্রুত এবং সহজ পন্থা চালু করেছে।  এ ছাড়াও পণ্য খালাস সহজীকরণের জন্য একটি বিশেষ সিলমোহরের ব্যবহার চালু করা হয়েছে, যা পণ্যর গুরুত্ব অনুসারে খালাসের সময় যথাযথভাবে কমিয়ে আনতে সক্ষম।’

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ এপ্রিল ২০১৯/নাসির/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়