ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

জরুরিভিত্তিতে সড়কের সংস্কার প্রয়োজন

আলী নওশের || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ১৪ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জরুরিভিত্তিতে সড়কের সংস্কার প্রয়োজন

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়কগুলোর বেহাল দশা। অনেক স্থানে সড়ক প্রায় চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে অনেক স্থানের সড়ক খানাখন্দে ভরা। এর ওপর অতিবৃষ্টি, বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে সারাদেশে রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে একদিকে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, অন্যদিকে গন্তব্যে পৌঁছতে সময় লাগছে বেশি। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে মানুষ।

রাজধানীতে দুই সিটি করপোরেশনের অনেক স্থানে সড়কের করুণ দশা।  টানা বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতার কারণে অনেক সড়কই এখন চলাচলের অযোগ্য। সড়কজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। এছাড়া উন্নয়ন কাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়ির ফলে সড়কের বেহাল দশা। দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রাথমিক হিসাব মতে, রাজধানীজুড়ে প্রায় ছয়শ’ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা বেহাল।

এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মালিবাগ-মৌচাক থেকে রামপুরা ব্রিজ হয়ে বাড্ডা পর্যন্ত সড়ক। আর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত। মূল সড়ক থেকে অলিগলি প্রয়ে সর্বত্র একই অবস্থা। সড়কজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে রাজধানীতে যানজট লেগেই থাকছে, সময়ক্ষেপণ হচ্ছে প্রচুর। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।

ঢাকার বাইরে বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে আগৈলঝাড়া বাইপাস থেকে পয়সারহাট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা বেশ খারাপ। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে মংলা বন্দর থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনায় পণ্য পরিবহন করা হয়। দক্ষিণাঞ্চলের পায়রা বন্দরের নির্মাণসামগ্রীও পরিবহন করা হয় এই পথে। এই সড়ক সংস্কার করা হয় গত জুনে। কিন্তু তিন মাস না যেতেই তা এখন চলাচলের অনুপযোগী। অনেক স্থানে খানাখন্দে ভরা। এতে প্রতিনিয়ত চালকদের ভোগান্তিসহ বাড়ছে দুর্ঘটনাও।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বহদ্দারহাট-কালুরঘাট সড়কসহ বিভিন্ন স্থানের সড়ক বেহাল রূপ নিয়েছে। অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এর ফলে দুর্ভোগে পড়ছেন নগরবাসী।

কুমিল্লায় অনেক সড়ক-মহাসড়কের অবস্থাও বেহাল। দূরপাল্লার পরিবহন এসব রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে। এখানকার সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে পরিবহণ ব্যবস্থা। এছাড়া কুমিল্লা-নোয়াখালী ও কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক।

জরুরি ভিত্তিতে এসব সড়ক মেরামতের উদ্যোগ, রাস্তাঘাট সংস্কার করা প্রয়োজন। এবার দুই ঈদের আগে দুই দফা কিছু সড়ক-মহাসড়কের সংস্কার কাজ হয়েছে। কিন্তু অবশিষ্ট এবং নতুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার মেরামত করতে হবে দ্রুত। অনেক সময় দেখা যায়, পণ্যবাহী ট্রাক এইসব সড়কের খাদে পড়ে গিয়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে দীর্ঘসময় যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে ব্যাহত হয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও। তখন এর প্রভাব পড়ে দ্রব্যমূল্যের ওপর।

রাস্তায় জলাবদ্ধতা এবং পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ওভারলোড করে চলার কারণেও সড়কের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। যেসব সড়ক সংস্কার করা হচ্ছে, দেখা গেছে বছর না যেতেই আবার সেগুলোর দশা বেহাল। তাই সড়ক-মহাসড়কগুলোর টেকসই সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন বন্দর সংলগ্ন ও সংশ্লিষ্ট রাস্তাঘাট দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ অক্টোবর ২০১৭/আলী নওশের

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়