ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বিমান দুর্ঘটনায় আমরা শোকাহত

শাহনেওয়াজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২১, ১৩ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিমান দুর্ঘটনায় আমরা শোকাহত

নেপালের কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশি বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস- বাংলার একটি যাত্রবাহী বিমান। এতে ৪ জন ক্রু ও ৬৭ জন যাত্রী ছিলেন। এই মোট ৭১ জন আরোহীর মধ্যে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিমানের আরোহীদের মধ্যে বাংলাদেশি ৩৬ জন, যাদের ২ জন শিশু। ৩৬ জনের মধ্যে চারজন ক্রু এবং ২২ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।  বাকী ১০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন, তাদের চিকিৎসা চলছে। ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস জানিয়েছে, আরোহীদের মধ্যে ৩৩ জন নেপালের, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি বিএস-২১১ নম্বর ফ্লাইটে দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। নেপালের স্থানীয় সময় ২টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ৫ মিনিট) কাঠমান্ডুতে অবতরণকালে এটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে আগুন ধরে যায় এবং এটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পাশের একটি ফুটবল মাঠে গিয়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মস্পর্শী। বাংলাদেশি নাগরিকসহ এতগুলো প্রাণহানি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই প্রাণহানিতে সারা দেশ শোকাহত। আমরা আহতদের দ্রুত সুস্থতা ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

আজ থেকে ৩৪ বছর আগে ১৯৮৪ সালের আগস্টে ঢাকায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে এর ৪৫ জন আরোহী নিহত হন। ফকার  এফ-২৭ বিমানটি চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় এসে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। নেপালের কাঠমান্ডুতে সোমবার (১২ মার্চ ২০১৮) বিমান দুর্ঘটনায় অকালে যে প্রাণহানি ঘটেছে তার শোক অতীতের সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে।

এই দুর্ঘটনায় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সিঙ্গাপুর সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছেন। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স তাদের বিমানে বাংলাদেশি আরোহীদের স্বজনদেরকে বিনামূল্যে নেপালে নিয়ে গেছে। আহতদের চিকিৎসা এবং তাদেরকে ও মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল মঙ্গলবার দুপুরে কাঠমান্ডু গেছেন। একটি সেলুলার টেলিফোন অপারেটর নেপালে টেলিফোন কল ফ্রি করে দিয়েছে। গণমাধ্যমগুলো যথাসাধ্য সংবাদ পরিবেশন করে চলেছে। বিমান দুর্ঘটনা পরবর্তী এসব তৎপরতা ইতিবাচক ও প্রশংসার দাবি রাখে।

যে কোন দুর্ঘটনাই দুঃখজনক। সতর্কভাবে চলাচলে দুর্ঘটনা এড়াতে পারাটাই দক্ষতা ও যোগ্যতা। এই দুর্ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে এবং ভবিষ্যতে যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায় সে সুপারিশ জোড়ালোভাবে করা হবে বলে আমরা আশা করি। আর সরকার ও দেশের সরকারি বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো অত্যন্ত কঠোরভাবে সে সব সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে- এটাই প্রত্যাশা।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ মার্চ ২০১৮/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়