ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বৃত্তি নিয়ে চীনে যাচ্ছেন ৮৫০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৯, ১০ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বৃত্তি নিয়ে চীনে যাচ্ছেন ৮৫০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

সচিবালয় প্রতিবেদক : শিগগিরই দেশের আরো ৮৫০ জন কারিগরি শিক্ষক-শিক্ষার্থী বৃত্তি নিয়ে চীন যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৮০০ জন শিক্ষার্থী ও ৫০ জন শিক্ষক।

শিক্ষার্থীরা তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং শিক্ষকরা ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণ করবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, চীন সরকারের প্রতিনিধিসহ চীনের ১৭টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪৪ প্রতিনিধি বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করে বৃত্তির জন্য আগ্রহী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাছাই করছেন।

কারিগরি ও মাদাসা শিক্ষা বিভাগের উপসিচব সুবোধ চন্দ্র ঢালী জানান, গত বছর থেকে চীনের এ বৃত্তি চালু হয়েছে। গতবার বাংলাদেশের ৩০৮ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি নিয়ে চীনের ১০টি প্রতিষ্ঠানে পড়তে গেছেন।

তিনি বলেন, এবারের বাছাইপর্বে দেশের ১১৭টি সরকারি-বেসরকারি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ৯০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। সেখান থেকে ৮০০ জন বাছাই করা হচ্ছে। এসব শিক্ষার্থীরা চীনে তিন বছরের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শেষ করে সেখানেই উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন বা চাকরি করার সুযোগ পাবেন।

এর আগে সোমবার রাতে স্থানীয় এক হোটেলে বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা প্রতিনিধিদের সম্মানে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব সোহরাব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জউ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ। সুদীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের সড়ক, সেতুসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি তারা শিক্ষাক্ষেত্রেও অবদান রেখে চলেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ কার্যক্রম সরকারের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।

চীনের সহযোগিতার এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী বলেন, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে চীনা শিল্পদ্রব্য বিশ্বের সব দেশের বাজারে সমাদৃত হচ্ছে। স্কলারশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা চীনের মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করে দেশের কারিগরি খাতকে শক্তিশালী করবে।

তিনি ভবিষ্যতে আরো বেশি শিক্ষার্থী-শিক্ষককে বিদেশে পাঠানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ জুলাই ২০১৮/হাসান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়