ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

যবিপ্রবির চার ছাত্রকে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ নোটিশ

বিএম ফারুক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৯, ১৯ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যবিপ্রবির চার ছাত্রকে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ নোটিশ

যশোর প্রতিনিধি: শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) এর বিভিন্ন বিভাগের চার জন ছাত্রকে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ নোটিশ দিয়েছে প্রক্টর দপ্তর।

যবিপ্রবি ক্যাম্পাসে নেটওয়ার্কিংয়ের মালামাল বুঝে নিতে বাধা প্রদান, উপাচার্য ও অন্যান্য জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে এদেরকে বুধবার বিকেলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়।

নোটিশ পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মো: ইলিয়াস হোসেন, একই বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র অন্তর দে শুভ, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মো: গোলাম রব্বানী এবং ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইসমে আজম শুভ।

চূড়ান্ত নোটিশে দেওয়া অভিযোগে জানানো হয়, ‘গত ১৭.০৭.২০১৮ তারিখে বেলা সাড়ে ১১টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কিংয়ের (বিডিরেন) কিছু মালামাল আসে। ওই সময়ে এই চারজন ছাত্র মালামাল ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দেয় এবং তাদের না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হবে না এবং হতে দেওয়া হবে না বলে সরবরাহকারীদেরকে জানায় ও চাঁদা দাবি করে।

সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার ও আইপিই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এ এস এম মুজাহিদুল হক খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান এবং মালামাল ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। তিনি তাদের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এবং বিডিরেন ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে কাজটি হচ্ছে, সুষ্ঠুভাবে হতে দাও। এমন আচরণ করলে কাজটির বিলম্ব হবে, বন্ধ হয়ে যাবে। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে যবিপ্রবি পিছিয়ে পড়বে’।

তাদের কোনোভাবেই বুঝাতে সক্ষম না হয়ে ড. মুজাহিদ মাননীয় উপাচার্যের কাছে ছুটে যান। এরপর উপাচার্য মহোদয় ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালান। ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ নেতা-নেত্রীরা বলার পরও উক্ত চারজন ছাত্র মালামালসমূহ আটকে রাখে। পরে উপাচার্য মহোদয় প্রক্টোরিয়াল বডি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিয়ে মালামালসমূহ উদ্ধার করতে যান। তখন উক্ত চারজন ছাত্র মাননীয় উপাচার্য এবং উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে অযৌক্তিক, অযাচিত ও ঔদ্ধ্যত্য আচরণ করেন। যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।’

নোটিশে আরও জানানো হয়, ‘আনুমানিক দুই মাস আগে উক্ত ছাত্ররাই ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য আনা ফাইবার অপটিক কেবল নিয়ে গিয়েছিল। তখন শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোঃ জাফিরুল ইসলামের সহায়তায় বিষয়টির সুরাহা হয়। এরপরেও গত ১৭.০৭.২০১৮ তারিখের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিস্মিত করেছে।’

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই চারজন ছাত্র বিভিন্ন সময়ে মাননীয় উপাচার্য, অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাভাবিক কর্মকান্ডে বাধা সৃষ্টি এবং অছাত্রসুলভ আচরণ করেছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে ক্যাম্পাসের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও অসদাচরণ করার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিশ্বদ্যিালয়ের গবেষণার কাজে যন্ত্রপাতি আনতে গেলেও উক্ত ছাত্ররা বাধা সৃষ্টি করে।

নোটিশে বলা হয়, সতর্কীকরণ নোটিশ পাওয়ার পরও যদি তাদের আচরণ সন্তোষজনক না হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০১ এবং প্রক্টোরিয়াল বিধি অনুযায়ী চূড়ান্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 




রাইজিংবিডি/যশোর/১৯ জুলাই ২০১৮/বি এম ফারুক/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়