ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

আমি শতভাগ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম : জান্নাতুল নাঈম

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৩, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আমি শতভাগ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম : জান্নাতুল নাঈম

রেজাউল করিম : চট্টগ্রামের মেয়ে জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। একজন চৌকস বাইকার। নানা দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ডের জন্য বন্ধুদের কাছে তিনি ‘মাফিয়া গার্ল’ হিসেবেও পরিচিত। গতকাল শুক্রবার মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ের মুকুট পড়েছেন তিনি। ২৫ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে এই খেতাব অর্জন করেন এভ্রিল।

১৮ নভেম্বর চীনের সানাইয়া শহরে অনুষ্ঠিত হবে ৬৭তম মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা। এতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সুন্দরীদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে লড়বেন জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। সদ্য মুকুটজয়ী জান্নাতুল নাঈম তার বিজয়ের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন রাইজিংবিডির সঙ্গে। এ আলাপচারিতার বিশেষ অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

রাইজিংবিডি : ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ বিজয়ী হওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন।
জান্নাতুল নাঈম :
অসংখ্য ধন্যবাদ।

রাইজিংবিডি : যখন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় তখন আপনি বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন?
জান্নাতুল নাঈম :
আমি সব সময় সাহসী এবং আত্মবিশ্বাসী। যখন যে কাজই করি না কেন নিজের উপর শতভাগ আত্মবিশ্বাস নিয়েই সেই কাজের জন্য নিজেকে তৈরি করি। মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রেও আমি শতভাগ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। একে একে বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে আমি সেরা দশে চলে আসার পর নিজের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গিয়েছিল। গতকাল যখন মঞ্চে সর্বশেষ ফলাফল ঘোষিত হচ্ছিল তখন হার্টবিট বেড়ে গেলেও নিজের বিশ্বাসের কাছে বিশ্বস্ত ছিলাম, আমিই হব। অতঃপর সেই কাঙ্খিত ফলাফলে আমিই মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ খেতাব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

রাইজিংবিডি : ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পেছনের গল্প জানতে চাই।
জান্নাতুল নাঈম :
জীবনে চ্যালেঞ্জ গ্রহণের আকাঙ্খা থেকেই মাত্র ১৪ বছর বয়সে মোটর সাইকেল চালনা শিখি। যেখানে মেয়েরা এখনো গিয়ারলেস স্কুটি চালাতে অভ্যস্থ। সেখানে আমি ১৫০-২৫০ সি.সি’র দ্রুতগতি সম্পন্ন মোটরসাইকেল চালাতে অভ্যস্ত। মোটরসাইকেল রেসিংয়ে আমি অনেক দক্ষ বাইকারদের সাথে প্রতিযোগিতা করে নিজেকে স্বতন্ত্রভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হই।

একজন নিয়মিত বাইকার এবং স্পোর্টসপ্রিয় হলেও ফ্যাশন ও মিডিয়া জগত সবসময় আমাকে টানে। এমন ইচ্ছে থেকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হ্যামার স্ট্রেংথ ফিটনেস সেন্টার আয়োজিত মিস্টার অ্যান্ড মিস হ্যামার স্ট্রেংথ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুবাদে দেশের নামকরা র্যা ম্প মডেল খালেদ হোসেন সুজনের কাছে গ্রুমিং করার সুযোগ পাই। ওই প্রতিযোগিতায় আমি সেরা চার প্রতিযোগীর মধ্যে থাকলেও মুল খেতাব পাইনি। কিন্তু আমার চ্যালেঞ্জ ছিল আমি এগিয়ে যাব। এরপর ফ্যাশন, সৌন্দর্য, মডেলিং বিষয়টাকে সিরিয়াসলি গ্রহণ করি। নিজেকে প্রস্তুত করি নতুন করে। এমন কর্মস্পৃহার ধারাবাহিকতায় অংশগ্রহণ করি মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায়। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের এই দিনে হ্যামার স্ট্রেংথের মিস হ্যামার স্ট্রেংথ খেতাব পাইনি। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে এক বছর পর প্রায় একই দিনে ২৫ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ মুকুট আমার মাথায় উঠেছে। এ জন্য আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।

রাইজিংবিডি : এবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। এ বিষয়ে আপনার ভাবনা জানতে চাই।
জান্নাতুল নাঈম :
আমি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করব, এটা আমার জন্য গৌরবের। সেখানেও আমি আত্মবিশ্বাসী। বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার জন্য আমি আরো কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে তৈরি করব। আশা করি, ওখানেও আমি সফল হব। সমগ্র বাংলাদেশ আমার সাথে থাকবে। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।

রাইজিংবিডি : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জান্নাতুল নাঈম :
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭/রেজাউল/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়