ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ এর চতুর্থ পর্ব

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ এর চতুর্থ পর্ব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে রচিত গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ এর চতুর্থ পর্ব এখন অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। এটি প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)।

১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলায় ‘মুজিব–৪’ এর প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বইটির প্রকাশক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, তথ্যপ্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, নভেলটির শিল্পী সৈয়দ রাশাদ ইমাম তন্ময় প্রমুখ।

বইমেলায় সিআরআইয়ের স্টলে (স্টল নম্বর ১০০/১৯) গ্রাফিক নভেল সিরিজের চারটি বই এবং ‘মুজিব-১’ এর ইংরেজি অনুবাদ পাওয়া যাচ্ছে।

 



হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে হয়েছে দীর্ঘ গবেষণা, লেখা হয়েছে অগণিত প্রবন্ধ-নিবন্ধ, কবিতা ও বই। এক সময় তার নিজের লেখার ওপর ভিত্তি করে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ প্রকাশিত হয়।

দেশের শিশু-কিশোর এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে উপস্থাপনের কাজটি সেভাবে হয়ে ওঠেনি আগে। এক্ষেত্রে এগিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবনকে আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরার জন্য গ্রাফিক নভেল বের করার কাজটি শুরু করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী অবলম্বনে গ্রাফিক নভেলের কাজটি শুরু হয় ২০১৪ সালে। তার জীবনের ঘটনাবলি সব বয়সের উপযোগী করে সংলাপ ও চিত্রায়নের দুরহ কাজটি সম্ভব করতে অনেকে ভূমিকা রেখেছেন। ‘মুজিব’ গ্রাফিক নভেলের কাজে নীবিড়ভাবে যুক্ত থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 



গ্রাফিক নভেলটি মূলত ১২ পর্বে তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। ‘মুজিব-১’ প্রকাশিত হয় ২০১৫ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে। এর পর সিরিজের আরো দুটি বই মুজিব-২ ও মুজিব-৩ প্রকাশিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত হল ‘মুজিব-৪’।

‘মুজিব–৪’ এর শুরুতে পাঠক জানতে পারবে, অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ কনফারেন্স শেষে তরুণ শেখ মুজিব তার সঙ্গীদের সাথে দিল্লীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করেন। টিকেট ছাড়া উত্তেজনাময় এক রেল ভ্রমণের বর্ণনা আছে এতে। এরপর ১৯৪৪ সালে ছাত্রলীগের সম্মেলনে ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে দলের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় শেখ মুজিবকে। দলের কথা চিন্তা করে তার রাজনৈতিক শিক্ষক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে তর্কে জড়াতেও পিছপা হন না তিনি।

এর আগে প্রথম পর্বে খেলাধুলা, পড়াশোনা, ডাক্তারের কাছ থেকে পালানো, প্রথমবারের মতো কারাবরণের মতো বিভিন্ন কৌতূহলোদ্দীপক কাজের পাশাপাশি দেশের প্রতি তরুণ বয়স থেকেই নিজের বিশ্বাসের পক্ষে দৃঢ় আবস্থান নিতে দেখা যায় কিশোর শেখ মুজিবকে। দ্বিতীয় পর্বে তার রাজনীতির হাতেখড়ির পাশাপাশি তার প্রেরণা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠার বিষয়টি জানা যায়। একইসঙ্গে পিতা ও পুত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফুটবল খেলার প্রতিযোগিতার ঘটনাও জানা যায়। এরপর মুজিব-৩ এ পাঠক তাকে স্কুল ও কলেজের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, দুর্ভিক্ষের সময় মানবিক ভূমিকা পালন করতে দেখে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/নঈমুদ্দীন/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়