ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দুই মাস এভারেস্টে, দশ মাস রান্নাঘরে

শাহিদুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ১৮ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুই মাস এভারেস্টে, দশ মাস রান্নাঘরে

লাকপা শেরপা

শাহিদুল ইসলাম : বছরের দশটা মাস তার কাটে সাধারণ সব নারীর মতো রান্নাঘরে। তবে বাকি দুই মাস তিনি হয়ে যান অসাধারণ। সাধারণ কোনো নারী যা কল্পনাও করতে পারেন না তিনি করে যান অবলীলায়। আর এভাবেই একের পর এক রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়ে তিনি একবার দুইবার না, নয়বার পৌঁছেছেন এভারেস্টের চূড়ায়। বলছি অসাধারণ সাহসের অধিকারী এক নারী লাকপা শেরপার কথা।

জন্মস্থান নেপাল হলেও বর্তমানে চূয়াল্লিশ বছর বয়সী লাকপা থাকেন আমেরিকার কানেক্টিকাট অঙ্গরাজ্যে। সেখানে হোলফুড নামের রেস্তোরাঁর রান্নাঘরের ঘণ্টা চুক্তিক্তে থালাবাসন ধোয়ার কাজ করেন। কিন্তু যার জন্ম হিমালয়ের পাদদেশে, যে বড় হয়েছে হিমালয়ের বাতাস গায়ে মেখে, সে কি হিমালয় ছেড়ে দূরে থাকতে পারে?

ফলে বছরের দশ মাস আমেরিকান রেস্তোরাঁয় কাজ করলেও পর্বতারোহণের মৌসুমে তিনি ছুটে যান নেপালে। কাজ করেন শেরপাদের আদি পেশা পর্বতারোহীদের সহকারী হিসেবে। তবে এটা তার মৌসুমি পেশা নয়, নেশা বলা চলে। আর এই নেশায় তাকে নয়বার পৌঁছে দিয়েছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত চূড়ায়। যেটা এ যাবতকালের এভারেস্ট চূড়ায় ওঠা নারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
 


নিজে এতবার হিমালয় ট্রেকিং করলেও সন্তানদের এ পেশায় আনতে চান না তিনি। কারণ এটি যেমন কষ্টসাধ্য তেমনি ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় মৃত্যু অবধারিত এই পেশায়। একটি পরিসংখ্যান থেকে তার কথার সত্যতা পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত যত জন এভারেস্ট আরোহী মারা গেছেন তার এক তৃতীয়াংশ শেরপা।

লাকপা শেরপা যখন প্রথম এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণ করেন তখন তার বয়স ছিল সাতাশ বছর। এরপর একে একে কেটে গেছে সতেরো বছর। তবে এই দীর্ঘ সময় এবং এতবার এভারেস্টে চূড়ায় উঠলেও তার উৎসাহে একটুও ভাটা পড়েনি। এ বিষয়ে তিনি বিজনেস ইনসাইডারকে বলেন, ‘আমি পর্বতারোহণে আসক্ত। পর্বতারোহণ না করলে আমি বরং অসুস্থ হয়ে পড়ি। তাই আমি বার বার ফিরে যেতে চাই হিমালয়ের কাছে।’ তার কথা এবং কাজের মধ্যে কোনো তফাত নেই। কারণ দশমবারের মতো এভারেস্ট আরোহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন দুই সন্তানের জননী লাকপা।

তথ্যসূত্র : বিজনেস ইনসাইডার




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ আগস্ট ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়