ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাসন্তী উৎসবে প্রাণোচ্ছল ক্যাম্পাস

ইমানুল সোহান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৮, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাসন্তী উৎসবে প্রাণোচ্ছল ক্যাম্পাস

ইমানুল সোহান : আজ পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। ফাল্গুন মানেই যেন বাহারি ফুলের সমাহার আর ভালোবাসার অফুরন্ত প্রয়াস। এদিনে মেয়েদের পড়নে হলুদ, লাল, আর ছেলেদের পড়নে বাহারি রঙের পাঞ্জাবি দেখা মিলে। ঠিক এমন দৃশ্যে আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণোচ্ছল ছিল।

সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা বাহারি পোশাকে ক্যাম্পাসে আসে। তারপর বন্ধুরা মিলে নিজেদের সেলফিতে আবদ্ধ করতে চেষ্টা করে। কেউবা প্রেয়সীর জন্য ফুল হাতে অপেক্ষাও করে। কারণ একদিন পরেই যে ভালোবাসা দিবস। ঋতুরাজ বসন্ত যেন ভালোবাসা নিয়েই প্রকৃতিতে আবর্তিত হয়। শুকনো পাতার মড়মড়ে শব্দকে বিদায় দিয়ে কোকিলের ডাকে বাংলার বুকে আসে বসন্ত।

ঋতুরাজ বসন্তবরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মঞ্চ, রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন, ডায়না চত্বর, ঝালচত্বরসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ চত্বরগুলোতে নতুন মাত্রার যোগ হয়েছিল। আজ বাংলা বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বিভাগটির আয়োজনে বুধবার বেলা ১১টায় রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের সামনে থেকে হলুদ শাড়ি ও পাঞ্জাবি পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাংলা মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। পরে দুই পর্বে বাংলা মঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।



অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বাংলা মঞ্চে বেলা সাড়ে ১১টায় বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সহযোগী অধ্যাপক বাকী বিল্লাহ বিকুলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহিনুর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সরওয়ার মোর্শেদ, অধ্যাপক রবিউল হোসেন, অধ্যাপক রশিদুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক তপন কুমার রায়, অধ্যাপক ইয়াসমিন আরা সাথী, অধ্যাপক সাইফুজ্জামানসহ প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ঋতু বৈচিত্রের দেশ বাংলাদেশ। পৃথিবীর কোথাও এটা নেই। প্রতিটি ঋতুর আলাদা রূপ, রস ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রকৃতির পরিবর্তন কাউকে মোহিত না করলে সে ভালো লেখক হতে পারবে না। এছাড়াও অনুষ্ঠানে তিনি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের কথা ব্যক্ত করেন। না হলে এক সময় ঋতুরাজ বসন্ত হারিয়ে যাবে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়