ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

দেশের ৪৩.৩ শতাংশ মানুষ তামাক ব্যবহার করে

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫১, ২৯ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দেশের ৪৩.৩ শতাংশ মানুষ তামাক ব্যবহার করে

সচিবালয় প্রতিবেদক : দেশের ৪৩.৩ শতাংশ তথা প্রায় সোয়া ৪ কোটি মানুষ তামাক ব্যবহার করে। ধূমপান ও তামাকের কারণে নানারকম ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, এজমাসহ নানাবিধ প্রাণঘাতী রোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

বাংলাদেশে ২০০৯ সালের গ্লোবাল এডাল্ট টোবাকো সার্ভে (গ্যাটস) রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়।

সোমবার সচিবালয়ে দুপুরে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য তুলে ধরেন।

তামাকের কুফল সম্পর্কে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ২০০৪ সালের একটি গবেষণা রিপোর্টও তুলে ধরেন তিনি।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ওই রিপোর্টে বলা হয়, তামাক খাতে যেখানে সরকারের বছরে প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আয় হয়, সেখানে  তামাকজনিত রোগের চিকিৎসা, অকাল মৃত্যু, পঙ্গুত্বের কারণে বছরে প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। ফলে বছরে নিট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২,৬০০ কোটি টাকা।

এতে আরো বলা হয়, বিশ্বে প্রতি ৬ সেকেন্ডে একজন এবং প্রতিবছর ৬০ লক্ষাধিক মানুষ তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর এ ধারা কমিয়ে আনতে বিশ্ববাসী একজোট হয়ে প্রণয়ন করেছে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কনট্রোল, যা জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে পৃথিবীর প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি।

উল্লেখ্য, এফসিটিসি অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সরকার ২০০৫ সালে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫’ প্রণয়ন করে। পরে ২০০৫ সালে প্রণীত আইনটিকে আরো শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন ২০১৩’ সংসদে পাস হয়। সর্বশেষ গত ১৯ মার্চ ২০১৫ ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়। এ সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে।

তামাকের ক্ষয়ক্ষতি বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, তামাকের ক্ষতির প্রভাব থেকে জাতি-ধর্ম, বর্ণ-গোত্র কিছুই রেহাই পায় না। এটি মৃত্যু, অক্ষমতা ও দুঃখ-দুর্দশা ডেকে আনে। এতে পরিবার, সমাজ ও জাতি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সারা বিশ্বে তামাক ব্যবহারজনিত রোগ, পঙ্গুত্ব, অক্ষমতা ও মৃত্যুর কারণে ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ ১.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা কিনা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা যেত।

১৯৮৭ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে প্রতিবছরের একটি দিনকে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯৮৮ সাল থেকে ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস প্রতিবছর আলাদা আলাদা প্রতিপাদ্য নিয়ে উদযাপিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তামাক- উন্নয়নের অন্তরায়’।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ মে ২০১৭/নঈমুদ্দীন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়