ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বিএসএমএমইউর বরাদ্দ বেড়েছে ৫৫ কোটি টাকা

আহমদ নূর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৭, ২১ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিএসএমএমইউর বরাদ্দ বেড়েছে ৫৫ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) জন্য ৩২৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে; যা গেল অর্থবছরের চেয়ে ৫৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা বেশি।

বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের মিলটন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিএসএমএমইউর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে এবার রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করা হয়েছে। এটিকে সামনে রেখে এবারের বাজেট তৈরি করা হয়েছে। এজন্য বিশেষ বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য চলতি অর্থবছরে বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণও বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত বছর আমাদের বাজেট ছিল ২৭৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এবার এর আকার দাঁড়িয়েছে ৩২৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।’

এর আগে আজ দুপুর ১২টার দিকে মিলটন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করা হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুন্নয়ন বাজেটের পাশাপাশি তৃতীয়বারের মতো উন্নয়ন বাজেট তুলে ধরা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করে প্রথমবারের মতো গবেষণা খাতে বাজেট বরাদ্দের ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঘোষিত বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের জন্য ২০৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১২০ কোটি দুই লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। এতে বেতন-ভাতা খাতে ২০৫ কোটি ছয় লাখ টাকা, পেনশন ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা, শিক্ষা ও সাধারণ আনুষাঙ্গিক ৮১ কোটি ২২ লাখ টাকা, গবেষণায় সাত কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং মূলধন মঞ্জুরি বাবদ ২০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

ডা. আসগর আলী খান মোড়ল বলেন,  বাজেটে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে ২৬২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা পাওয়া যাবে। সামগ্রিক ঘাটতি থাকবে ৩৯ কোটি ১৯ লাখ টাকার। এর মধ্যে ২৮ কোটি লাখ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে ব্যয় করা হবে; যা গত বছর ছিল ২০ কোটি টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে কামরুল হাসান খান বলেন, বিএসএমএমইউকে শিক্ষা, গবেষণা ও চিকিৎসা সেবার দিক থেকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৯০৪টি বেড রয়েছে; যা আইপিএমআরের সময় ছিল ৮০০টি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০টি বিভাগ ও একটি সেন্টারে শিক্ষক রয়েছেন ৪৬০ জন। এছাড়া পরামর্শক চিকিৎসক ৫০ জন, মেডিক্যাল অফিসার ৪৪৬ জন,  গবেষণা সহকারী ৫৮ জন, কর্মকর্তা ২৮৩ জন, নার্স ও ব্রাদার ১ হাজার ১৮৮ জন এবং দুই হাজার ১৩ জন কর্মচারী কাজ করছেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২টি অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৯২টি উচ্চশিক্ষার কোর্সে তিন হাজার ৩০০ জন মেডিক্যাল শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর পড়ছেন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে হাজারেরও বেশি রোগী সেবা নিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতাল শাখায় ক্যাজুয়ালিটিসহ জেনারেল ইমারজেন্সি সেবা চালুর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার বিছানার একটি স্পেশালাইজড হাসপাতাল তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।  এছাড়া, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওয়ান পয়েন্ট হেলথ চেকআপ সেন্টার চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে ১০ কোটি টাকা প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ.এস.এম জাকারিয়া (স্বপন), রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. ছিদ্দিকুর রহমান ভূইয়া, পরামর্শক (অর্থ ও হিসাব) মো. আব্দুস সোবহান, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ, হিসাব ও অডিট) মো. শফিকুর রহমান।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জুন ২০১৭/নূর/সাওন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়