ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

জন্মগত ত্রুটির হার ৫.৫ শতাংশ

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫১, ৪ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জন্মগত ত্রুটির হার ৫.৫ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৫৪০ নবজাতকের ডাটা এনবিবিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৮৫ জনের জন্মগত ত্রুটি শনাক্ত করা হয়েছে। সে হিসাবে জন্মগত ত্রুটির হার ৫.৫ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী জন্মগত ত্রুটির হার প্রতি ১০০ জনে ৩ থেকে ৬ জন (৩-৬%)।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের ডিজিটাল লাইব্রেরিতে ৪ এপ্রিল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগের জন্মগত ত্রুটির গবেষণামুলক দুই দিনের কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়। ন্যাশনাল নিউনেটাল পেরিনেটাল ডাটাবেজ (এনএনপিডি) অ্যান্ড নিউ বর্ন বার্থ ডিফেক্ট (এনবিবিডি) সার্ভিলেন্স ইন বাংলাদেশের উদ্যোগে নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি ওপর এ কর্মশালায় এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহায়তায় আয়োজিত এই কর্মশালায় মৃতজাত, জন্মগত ত্রুটির হার নির্ণয়, কারণসমূহ এবং প্রতিরোধমূলক পরিকল্পনার ওপর বিশদ আলোচনা হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. খালেদা ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. সুলতান মো. শামসুজ্জামান। আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. মামাদু হাদি দিয়ালো।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প পরিচালক ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ মান্নান। নিউ বর্ন বার্থ ডিফেক্ট (এনবিবিডি) সার্ভিলেন্স ইন বাংলাদেশের অগ্রগতি সংক্রান্ত তথ্যসমূহ তুলে ধরেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় কুমার দে।

কর্মশালায় দেশের ১৬টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের শিশু এবং স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞসহ ৬০ জন অংশ নেন।

বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, জন্মগত ত্রুটির ওপর আয়োজিত এই কর্মশালা জন্মগত ত্রুটির হার নির্ণয়, নবজাতকের মৃত্যুহার হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অর্জণে সহায়ক হবে। এই কার্যক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।        




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ এপ্রিল ২০১৮/সাওন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়