দেশে বাড়ছে মেরুদণ্ডের রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে মেরুদণ্ডের রোগী বেড়েই চলছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ১৫০ জন নিউরোসার্জন মস্তিষ্কের পাশাপাশি মেরুদণ্ডের রোগীদের সার্জিক্যাল চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।

বুধবার নিউরোস্পাইন বিষয়ে জাতীয় সম্মেলন ও ক্যাডাভেরিক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ব্লকের ১১ তলায় আইএনএম অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ। সভাপতিত্ব করেন নিউরোস্পাইন সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ টি এম মোশারেফ হোসেন। বিদেশী ফ্যাকাল্টি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের অধ্যাপক পি শরৎ চন্দ্র ও যুক্তরাজ্যের ক্রিস্টফার জন জারবার ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ডা. আসিত চন্দ্র সরকার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, নিউরোস্পাইন সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্ত অনেক রোগী প্যারালাইজড হয়ে যায়। অনেক রোগী শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন। নিউরোস্পাইন বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন ও ক্যাডাভেরিক কর্মশালা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের দক্ষতা যেমন বৃদ্ধি করবে তেমনই এই কর্মশালা এ ধরনের রোগীদের কল্যাণ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নিউরোস্পাইনের নানা জটিলতা ও সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের সেবার পরিধি আরো বৃদ্ধি করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউরোস্পাইন উইং চালুসহ প্রয়োজনীয় পদসমূহ সৃষ্টি করা হয়েছে।

স্বাগত বক্তব্যে নিউরোস্পাইন সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন জানান, দেশে মেরুদণ্ডের রোগী বেড়েই চলেছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ১৫০ জন নিউরোসার্জন মস্তিষ্কের পাশাপাশি মেরুদণ্ডের রোগীদের সার্জিক্যাল চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন। এরই প্রেক্ষাপটে ২০১৫ সালে নিউরোস্পাইন সোসাইটি অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে নিউরোস্পাইনাল সোসাইটি দেশের নিউরোস্পাইন সার্জনদের সার্জারি দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতার আজকের এই জাতীয় সম্মেলন ও ক্যাডাবেরিক ওয়ার্কশপ।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতা আসার পরপরই এ দেশে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স প্রতিষ্ঠা করেন এবং স্পাইনাল নিউরোসার্জারি ইউনিট চালু করেন। আরো আশার কথা হলো, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া স্যার সম্প্রতি নিউরোসার্জারি বিভাগে স্পাইনাল নিউরোসার্জনের পদ সৃষ্টি করেছেন। বিএসএমএমইউর গণ্ডি পেরিয়ে দেশের সকল মেডিক্যাল কলেজে স্পাইনাল নিউরোসার্জনের পদ সৃষ্টি এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ জানুয়ারি ২০১৯/সাওন/রফিক