ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘সব হাসপাতালেই আছে নিরাপদ মাতৃপ্রসূতি সেবা’

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৯, ২৮ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘সব হাসপাতালেই আছে নিরাপদ মাতৃপ্রসূতি সেবা’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন,  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৫৯টি জেলা হাসপাতাল, ৬৮টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ১৩২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সমন্বিত জরুরি প্রসূতি সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।  এককথায় দেশের প্রতিটি হাসপাতালেই নিরাপদ মাতৃপ্রসূতি সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাড়িতে নিরাপদ প্রসব সম্পন্ন করা, গর্ভকালীন জটিলতা নিরসন ও জরুরি প্রয়োজনে উচ্চতর হাসপাতালে রেফার করার লক্ষ্যে কমিউনিটি পর্যায়ে সিএসবিএ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’

এ পর্যন্ত ১১ হাজার ২৫৭ জন নারী মাঠকর্মী ও প্রাইভেট শিক্ষার্থী সিএসবিএ কোর্স সম্পন্ন করে কমিউনিটি পর্যায়ে কাজ করছেন। তা ছাড়া জাতিসংঘের ৬৫তম সাধারণ সভায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তিন হাজার মিডওয়াইফ তৈরির লক্ষ্যে মিডওয়াইফারি কোর্স চালু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬০০ নার্স মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে সার্টিফাইড মিডওয়াইফের সনদ পেয়েছেন বলেও জানান জাহিদ মালেক।

তিনি আরো বলেন, ‘মাতৃস্বাস্থ্য সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি ও মাতৃমৃত্যু রোধকল্পে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালনের ঘোষণা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর যথাযোগ্য মর্যাদায় সরকারিভাবে সারা দেশে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসের কর্মসূচি পালিত হবে।’

এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘মর্যাদা ও অধিকার, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসূতি সেবায় অঙ্গীকার’ যা খুবই সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ ।

স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আরো পর্যাপ্ত চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘বর্তমান সরকারের গত মেয়াদে ১৩ হাজার চিকিৎসক, ১৫ হাজার নার্স এবং ১৬ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আরো চিকিৎসক, পর্যাপ্ত সংখ্যক নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধিতে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ অন্যান্য চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছি। প্রতিটি বিভাগে একটি করে ক্যান্সার হাসপাতাল ও কিডনি হাসপাতাল হবে। চিকিৎসকদের জন্য উচ্চশিক্ষার আসন বৃদ্ধি, নতুন কোর্স চালু, নার্সিং বিষয়ে পিএইচডি ও মাস্টার্স প্রশিক্ষণ, বিএসসি নার্সিংয়ের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, ডিপ্লোমা-ইন-মিডওয়াইফারি কোর্সসহ দক্ষ জনবল তৈরিতে সরকার কাজ করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ মে ২০১৯/নঈমুদ্দীন/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়