ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরতরা সরকারি সব সুবিধা পাবেন

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৭, ১৮ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরতরা সরকারি সব সুবিধা পাবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরতদের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। কিন্তু তাতে কি, রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না হলেও ট্রাস্টের অধীনে তারা পাবেন সরকারি সব সুবিধা। বেতন-ভাতা, বোনাস-ইনক্রিমেন্ট সবই সরকারিভাবে হবে। এমনটাই জানিয়েছেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।

এসডিজি বাস্তবায়নে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিভার্সেল হেলথ কভারেজ বিষয়ক সংবাদ সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

মঙ্গলবার দুপুরে মহাখালীর বিএমআরসি ভবনে এ অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটি ইন্টারপার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সভাপতি, সংসদ সদস্য ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত।

এছাড়া সিনিয়র সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, সাংবাদিক শিশির মোড়ল, হেলথ রিপোর্টাস ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ, সাংবাদিক মাইনুল আহসান সোহেল, রাশেদ রাব্বী প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, সবচেয়ে অবহেলিত গ্রামীণ নারী ও শিশুদের সেবা নিশ্চিতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা হয়। আমরা যেটা কমিটমেন্ট করেছি, সেটা কতটা বাস্তবায়ন করেছি, তা দেখতে হবে। অভিযোগ আছে, অনেক জায়গায় কমিউনিটি ক্লিনিক আছে, সেখানে কাজ করে না। আমরা সামগ্রিক বিষয়ই নজরে রাখবো।

তিনি বলেন, আপনারা জানিয়ে দেন, তাদের চাকরির নিশ্চয়তা আছে, প্রমোশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দক্ষতা বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের বেশি বেশি প্রশিক্ষণ করানো হবে। এছাড়া আগামী নিয়োগে মেয়েদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

তিনি জানান, নদীতে চলে গেছে দেড়শ কমিউনিটি ক্লিনিক। এছাড়া ৯৮ সালে যে বিল্ডিং করা হয়েছে, সেগুলো আবার করা হবে। এগুলো হবে চার রুম বিশিষ্ট। আল্টিমেটলি সবগুলোই রিপ্লেস করতে হবে।

তিনি বলেন, যাই করেন না বাস্তবতার সাথে মিল রেখে করতে হবে। চাইলেই কি একদিনে পরিবর্তন করতে পারবো, পারবো না। পর্যায়ক্রমে করতে হবে।

প্রধান অতিথি মো. হাবিবে মিল্লাতের কাছে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক  রাশেদ রাব্বী জানতে চান, তিনি যেহেতু বলেছেন প্রতি বছর যদি স্বাস্থ্য খাতে ১ শতাংশ বাজেটে বাড়ানো হয়, তাহলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। সেক্ষেত্রে কি ধরনের ভূমিকা থাকবে।

এই প্রশ্নের জবাবে হাবিবে মিল্লাত বলেন, সত্যিকার অর্থে স্বাস্থ্য খাতে বাজেট অপ্রতুল। দুর্নীতি আছে। বাজেটে বাড়ানোর প্রসঙ্গে তিন কথা বলবেন। যে ধরনের ভূমিকা রাখা দরকার তা তার পক্ষ থেকে রাখবেন।

এমবিবিএস ডাক্তার ছাড়া কেউ এন্টিবায়োটিক লিখতে পারবে না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোগীর চেয়ে চিকিৎসক অপ্রতুল। আমাদের রোগী তো বেশি আছে, সেই রোগী যদি এমবিবিএস ডাক্তার পর্যন্ত না পৌঁছায়, তাহলে কি সেই রোগীরা মারা যাবে?

সবশেষে হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তোফিক মারুফ প্রস্তাব রাখেন, ফেলোশিপ চালুর জন্য। ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী আশ্বস্ত করেন, এটা করা হবে।

এছাড়া একজনে প্রস্তাব দেন, কমিউনিটি ক্লিনিক রিলেটেড একটি ফেসবুক আইডি করার। তাও দ্রুত করার সিদ্ধান্ত হয়।

উল্লেখ্য, দেশে সাড়ে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুন ২০১৯/সাওন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়