জাকিয়া হত্যায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর শ্যামপুরে জাকিয়া বেগম লিলু হত্যা মামলায় তার স্বামী সৈয়দ আমিনুল হক ওরফে আব্দুল হক মিলন ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জাকিয়া বেগম সৈয়দ আমিনুল হকের প্রথম স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এরপর তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
ওই দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জাকিয়া বেগমকে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক হত্যা করে লাশ গোপন করার অপরাধে তাদের আরো সাত বছর করে কারাদণ্ড, পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো তিন মাস করে কারাভোগ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সৈয়দ আমিনুল হক ঢাকায় লাবণ্য ল্যান্ড কনস্ট্রাকশনে চাকরি করতেন। আমিনুল হকের প্রথম স্ত্রী জাকিয়া বেগম ২০০২ সালে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসেন। ৯ ডিসেম্বর ছেলে-মেয়েরা তাদের মা জাকিয়া বেগমকে শ্যামপুরের বাসায় রেখে চলে যান। ১২ ডিসেম্বর বিকেলে সৈয়দ আমিনুল হক ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা খাতুন জাকিয়া বেগমকে হত্যা করে লাশ মাটির নিচে পুঁতে রাখে। ওই ঘটনায় শ্যামপুর থানার এসআই সৈয়দ মহসিনুল হক ২০০২ সালের ৩১ ডিসেম্বর মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামপুর থানার এসআই মো. শাহ আলম ২০০৪ সালের ২৭ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ৪ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
এদিকে জাকিয়া বেগমকে হত্যার দায় স্বীকার করে সৈয়দ আমিনুল হক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবদুল কাদের পাটোয়ারী এবং আসামিপক্ষে ছিলেন ফারুক আহাম্মদ।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ এপ্রিল ২০১৮/মামুন খান/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন