ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

গারো কিশোরী ধর্ষণ : গৃহকর্তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৬, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গারো কিশোরী ধর্ষণ : গৃহকর্তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুর বৌ বাজার এলাকায় গৃহকর্মী গারো কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের ঘটনায় গৃহকর্তা ইউসুফ আলী (৪৫) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই মো. নুরুজ্জামান আসামিকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার  আবেদন করেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে  কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাপ্তানবাজার এলাকা থেকে ইউসুফ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইউসুফ আলী গত ১৯ বছর ধরে বসুন্ধরা জিপি হাউজের আইটি টেকনিশিয়ান (মেকানিক) হিসেবে কর্মরত আছে।

এরপর বিকেলে র‌্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান জানান, রাজধানীর গুলশানে একা পেয়ে গারো সম্প্রদায়ের ১৬ বছর বয়সী এক গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করে গৃহকর্তা ইউসুফ আলী। গৃহপরিচারিকা হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তার চোখ পড়ে ওই কিশোরীর ওপর। পরে সুযোগ পেয়ে ইউসুফ তাকে ধর্ষণ করে।

তিনি বলেন, ওই গারো কিশোরী গত ২৬ জানুয়ারি চাচাতো বোনের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ থেকে এসে গুলশানে ইউসুফের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ নেন। ইউসুফের বয়স ৫০ বছর। এই সময়ের মধ্যে তিনি দুটি বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর তিন মেয়ে আছে। তারা উত্তর বাড্ডা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। আর গুলশানের কালাচাঁদপুরের বাসায় দ্বিতীয় স্ত্রী থাকতেন। সেখানে মাঝেমধ্যে থাকেন ইউসুফ। দ্বিতীয় স্ত্রীও গারো সম্প্রদায়ের ছিলেন। ২০০৮ সালে বিয়ের পর গারো সম্প্রদায় থেকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন দ্বিতীয় স্ত্রী। দ্বিতীয় স্ত্রী একাই থাকেন। তাই গৃহপরিচারিকা হিসেবে ওই কিশোরীকে মাসিক ২০০০ টাকা বেতনে বাসায় নিয়োগ দেন।

সিও বলেন, ইউসুফের দ্বিতীয় স্ত্রী সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার বাসায় রান্নার কাজ করেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কাজে বেরিয়ে গেলে সুযোগ বুঝে কিশোরীকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর সকাল ৮টার দিকে আবারও দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণ করলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে কিশোরীটি। অবস্থা বেগতিক দেখে ইউসুফ দ্বিতীয় স্ত্রীকে ফোন করে বাসায় ডেকে আনেন। দ্বিতীয় স্ত্রী কিশোরীর চাচাতো বোনকে ফোন করে জানান, তোমার বোন অসুস্থ, একটু বাসায় তাড়াতাড়ি আসতে হবে। এরপর চাচাতো বোন এসে কিশোরীকে প্রথমে বাড্ডার উপশম হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে সেখান থেকে বেলা ২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসিতে) ভর্তি করানো হয়। বিকেলে জ্ঞান ফিরলে কিশোরী পুলিশের কাছে সব কিছু জানায়। ওই দিন রাতেই গুলশান থানায় ধর্ষণ মামলা করা হয়।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়