ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

জার্মান চিকিৎসকের সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৮, ২১ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জার্মান চিকিৎসকের সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক : হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় জার্মান চিকিৎসক গ্রাব্রিয়েল পিটারসনের সাক্ষ্য প্রদানের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মাকছুদা পারভীন শুনানি শেষে নাকচের করে দেন।

এদিন মামলার আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু আসামি মিজানুর রহমানের আইনজীবী মোহাম্মদ নূর শিকদার আত্মপক্ষ শুনানি থেকে উত্তোলন পূর্বক গ্রাব্রিয়েল পিটারসনের সাক্ষ্য প্রদানের আবেদন করেন।

তিনি বলেন, হুমায়ুন আজাদ জার্মানিতে মারা যান। তার ময়নাতদন্ত করেন গ্রাব্রিয়েল পিটারসন। তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। এজন্য তাকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য উপস্থিত হওয়ার আবেদন করেন এ আইনজীবী।

শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি নামঞ্জুর করেন। আর আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানির জন্য আগামী ২৪ এপ্রিল পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

এদিন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত আগামী ২৪ এপ্রিল পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একুশের বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলা একাডেমির উল্টোদিকের ফুটপাতে সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্মক আহত হন হুমায়ুন আজাদ। হামলার পর তিনি ২২ দিন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কয়েক মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর ২০০৪ সালের আগস্টে গবেষণার জন্য জার্মানিতে যান এই লেখক। ওই বছরের ১২ আগস্ট মিউনিখে নিজের ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলার পরের দিন তার ছোট ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। পরে আদালতের আদেশে অধিকতর তদন্তের পর সেই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান মামলাটি তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার আসামিরা হলেন জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। আসামিদের মধ্যে মিনহাজ এবং আনোয়ার কারাগারে আছে। সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ পলাতক। হাফিজ মারা গেছে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ মার্চ ২০১৯/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়