ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শিশুর জন্য জ্যাম-জেলি কতটা ক্ষতিকর?

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ১৮ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিশুর জন্য জ্যাম-জেলি কতটা ক্ষতিকর?

প্রতীকী ছবি

আহমেদ শরীফ : সাধারণত পাউরুটির সঙ্গে বা হাতে বানানো রুটি ও বিস্কুটে জ্যাম কিংবা জেলি লাগিয়ে খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় শিশুদের মাঝে। ব্রেকফাস্টে, বিকেলে বা দিনের অন্য সময়েও জ্যাম-জেলি সহ খাবার খেতে চায় শিশুরা। সময় সাশ্রয়ী বলে মা-বাবারাও জ্যাম-জেলি সহ পাউরুটি বা রুটি খেতে দেন সন্তানকে। তবে প্রশ্ন হলো টিভি বিজ্ঞাপনে জ্যাম-জেলিকে যেভাবে স্বাস্থ্যকর দাবি করা হয়, তা কি সত্যি? উত্তর হলো- মোটেই না। কারণ এক টেবিল চামচ জ্যাম দুই চামচ চিনির সমান, যা শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। আরো যেসব কারণে সন্তানকে জ্যাম কিংবা জেলি খাওয়া থেকে বিরত রাখবেন, তা জানি চলুন-

* ধারণার চেয়েও কম পুষ্টিগুণ আছে এতে : যে ফল থেকে জ্যাম তৈরি করা হয়, ওই ফলের প্রায় একই পরিমাণ চিনি মেশানো হয় ও সেদ্ধ করা হয়। আর ওই ফল সেদ্ধ করার কারণে তার কিছু পুষ্টি উপাদান যেমন নষ্ট হয়, তেমনি ফলে থাকা পানির পরিমাণও কমে যায়। সেদ্ধ করার ফলে জ্যামে খুব প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান, যেমন ভিটামিন সি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়।

* স্থুলতা ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় : যেসব শিশু নিয়মিত জ্যাম-জেলি খায়, তাদের স্থুলতা বা মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি। এতে করে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। এর কারণ হলো জ্যামে উচ্চ ক্যালরি থাকলেও তাতে খুব কম পুষ্টি থাকে।

* খাবারের আগ্রহ কমে যায় : প্রিজার্ভ করা খাবারে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে, এ কারণে তা সুস্বাদু লাগে। এছাড়া জ্যাম-জেলির মতো খাবার মস্তিষ্কে ভুল সংকেত দেয় যে পাকস্থলী পূর্ণ আছে। তাই নিয়মিত জ্যাম-জেলি খাওয়ার কারণে শিশু খাবারের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ এপ্রিল ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়