ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘বিএফইউজের বিদায়ী মহাসচিবের কারণেই নির্বাচন স্থগিত হয়েছে’

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০২, ৮ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বিএফইউজের বিদায়ী মহাসচিবের কারণেই নির্বাচন স্থগিত হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সদ্য বিদায়ী মহাসচিব ওমর ফারুকের কারণেই নির্বাচন স্থগিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জলিল-কাজল-মধু পরিষদ।

রোববার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (‌ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- প্যানেলের পক্ষে বিএফইউজে নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী আবদুল জলিল ভূঁইয়া, মহাসচিব পদপ্রার্থী জাকারিয়া কাজল ও কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী মধুসূদন মন্ডল, যুগ্ম মহাসচিব পদপ্রার্থী নাসিমা সোমা, সদস্য পদপ্রার্থী জহুরুল ইসলাম টুকু, খায়রুজ্জামান কামাল ও শেখ মামুনুর রশীদ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাকারিয়া কাজল।

জাকারিয়া কাজল বলেন, ‘সদ্য বিদায়ী মহাসচিব অজ্ঞতাবশত অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন স্থগিত করেছেন। শ্রম আদালত থেকে নির্বাচন কমিশনকে বলা হয়েছে, আপনারা ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) অপরিবর্তিত, পূর্ণাঙ্গ ও সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোট গ্রহণ করবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুলাই বিএফইউজের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশনকে তালিকা দিয়েছে। এর পরে এই তালিকা অনুযায়ী ভোট গ্রহণে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। তিনি (সদ্য বিদায়ী মহাসচিব) বললেন, ওই ভোটার তালিকা অনুযায়ী নির্বাচন হবে না। তিনি যে ভোটার তালিকা দিয়েছেন, সেই তালিকা অনুযায়ী ভোট অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘ট্রেড ইউনিয়নের নির্বাচনে শ্রম অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি থাকার কথা। এটা আইন। কমিটি এটা পাত্তা দেয়নি। প্রতি পদক্ষেপে নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটেছে। প্রতি পদক্ষেপে অজ্ঞতাপ্রসূত অবহেলা অথবা ইচ্ছাকৃত অবহেলা, দুটোই সমান অপরাধ। যাদের কারণে এটি হয়েছে তাদের ব্যাপারে আপনারা (সাংবাদিক) সিদ্ধান্ত নেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিতে না পারার কারণ জানতে চাইলে সভাপতি প্রার্থী আবদুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, ‘একজন ব্যক্তি হলেও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তিনি মহাসচিব, প্রধান নির্বাহী। তিনি তখন বলেছেন, তার দেওয়া তালিকাতেই নির্বাচন করতে হবে, তা না হলে তিনি আদালতে যাবেন। এ কারণে নির্বাচন কমিশন আর এগুতে পারেনি।’

বিগত কমিটির মাধ্যমে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘিত হওয়ার বর্ণনা দিয়ে আব্দুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, ‘গত নভেম্বরের ২৯ তারিখে নির্বাচনটি হওয়ার কথা ছিলো। কী কারণে হয়নি? গঠনতন্ত্রে আছে, নির্বাচন পেছানো যায় যদি দেশে কোনো জরুরি অবস্থা হয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, দুর্ভিক্ষ হয়। কিন্তু এ বছর নির্বাচন পেছানো হয়েছে কারণ ছাড়াই। এর বিচারের দায়িত্ব আপনাদের।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ৬ জুলাই শুক্রবার বিএফইউজে নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ছিল। প্রার্থী হিসেবে সব প্রচারণা শেষ করেছি। শেষ সময় জানতে পারি, নির্বাচন দুজন প্রার্থীর মামলায় প্রথম শ্রম আদালত স্থগিত করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রার্থীদের কাছে করণীয় জানতে চাইলে প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি, সহসভাপতি, মহাসচিব ও কোষাধ্যক্ষ লিখিতভাবে সম্মতি প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত ৫ জুলাইয়ের সভায় স্থগিত করা ভোটারদের ভোটাধিকার বিষয়ে আপত্তি করেন মহাসচি (ওমর ফারুক)।’

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ‘যাদের স্বার্থে নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হয়নি, নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা করা হচ্ছে, এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং গতিশীল সাংবাদিক স্বার্থ সংরক্ষণকারী বিএফইউজের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য সহকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ জুলাই ২০১৮/হাসিবুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়