‘মিডিয়া লিটারেসিকে ক্লাসরুমের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দীক বলেছেন, মিডিয়া লিটারেসিকে ক্লাসরুমের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। ক্লাসরুমে সংবাদ পড়িয়ে এর গুণাগুণ বিচার করার ধারণা শিক্ষার্থীদের দিতে হবে। মিডিয়া লিটারেসি ইজ অ্যাবাউট ট্রুথ লিটারেসি।

বৃহস্পতিবার প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মিলনায়তনে মিডিয়া লিটারেসি বা গণমাধ্যম স্বাক্ষরতা বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং গাজী টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। সভাপতিত্ব করেন পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর।

শ্যামল দত্ত বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াকে কেন সোশ্যাল বলা হয়, আমি বুঝতে পারি না। এটাই আমাদের সবচেয়ে অসামাজিক করে তুলছে। মিডিয়া লিটারেসি এখন আর নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য নয়, এর প্রয়োজন ও ব্যাপকতা অনেক বেশি। মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপ এখন এত বড় যে, ডিজিটাল মিডিয়া এবং মাসমিডিয়া (গণমাধ্যমকে) আলাদাভাবে দেখার সুযোগ নেই।

ইশতিয়াক রেজা বলেন, মূলধারার গণমাধ্যম আর মানুষের ভাষা বুঝতে পারছে না। মানুষ নতুন ভাষা চায় আর এভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ার আগমন। সিটিজেন জার্নালিজমের ধারণা খুবই আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে, কিন্তু এটা মিডিয়া কিলার। গণমাধ্যমকে আরো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।

সভায় ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষক জয়দীপ দে বলেন, আমাদের বহু বছরের পুরনো বিশ্বাস এবং আবেগকে কাজে লাগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে উগ্রবাদ ছড়ানো হচ্ছে। তাই সংবাদ পড়ার সময় আমাদের বেশি আবেগপ্রবণ না হয়ে যুক্তি দিয়ে ভাবতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক সোহরাব হোসেন, ঢাকা ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ নভেম্বর ২০১৮/নাসির/রফিক