ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২৮৪

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ১ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২৮৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদায়ী বছরে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা ২০১৬ সালের তুলনায় বেড়েছে। তবে তা ২০১৫ সালের তুলনায় কম। গত বছর সারা দেশে ৩ হাজার ৪৭২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ২৮৪ জন নিহত ও ৯ হাজার ১১২ জন আহত হন। নিহতের তালিকায় নারী ও শিশুর সংখ্যা যথাক্রমে ৫১৬ জন ও ৫৩৯ জন।

জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে এসব দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির (এনসিপিএসআরআর) বার্ষিক জরিপ ও পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ২০১৭-তে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

২২টি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং আটটি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে এই বেসরকারি সংগঠনটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
 
এনসিপিএসআরআরের তথ্যমতে, ২০১৬ সালে ২ হাজার ৯৯৮টি দুর্ঘটনায় ৪৭০ নারী ও ৪৫৩ শিশুসহ ৩ হাজার ৪১২ জন নিহত এবং ৮ হাজার ৫৭২ জন আহত হন। তবে এর পূর্ববর্তী বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে ৪ হাজার ৫৯২টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৬ হাজার ৮২৩ ও ১৪ হাজার ২৬ জন। নিহতের মধ্যে ৭৮১ জন নারী ও ৭৬২ জন শিশু ছিল। এই হিসেবে, ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির হার যথাক্রমে ১৫ দশমিক ৮২ ও ২৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সর্বাধিক ৩৭২টি দুর্ঘটনায় ৫৬ নারী ও ৫৮ শিশুসহ মোট ৪৭২ জন নিহত এবং ১ হাজার ৯৪ জন আহত হন। একই বছর আগস্টে সর্বনিম্ম ২১৭টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নারী ও ৩১ শিশুসহ ২৭৯ জনের প্রাণহানি ঘটে। আর আহত হন ৫০৩ জন। 

পর্যবেক্ষণে দুর্ঘটনা বৃদ্ধির জন্য ৯টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে কমিটি। সেগুলো হচ্ছে-  বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলসহ তিন চাকার যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি, স্থানীয়ভাবে তৈরি দেশীয় ইঞ্জিনচালিত ক্ষুদ্রযানে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন, বিধি লঙ্ঘন করে ওভারলোডিং ও ওভারটেকিং, জনবহুল এলাকাসহ দূরপাল্লার সড়কে ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করা, দীর্ঘক্ষণ বিরামহীনভাবে গাড়ি চালানো, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক ও বেহাল সড়ক, ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল বন্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব এবং অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক নিয়োগ।

জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি কর্তৃপক্ষগুলোর যথাযথ তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবই দায়ী। দুর্ঘটনা সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনতে হলে গণপরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা দূর করতে হবে। সে ক্ষেত্রে শ্রমিক-কর্মচারিদের নিয়োগপত্র ও উপযুক্ত বেতন-ভাতা প্রদান এবং চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।   
 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ জানুয়ারি ২০১৮/সাওন/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়