ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

৩০ ঔষধ কোম্পানি দেশে চাহিদার ৯০ ভাগ পূরণ করে

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৩, ২১ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৩০ ঔষধ কোম্পানি দেশে চাহিদার ৯০ ভাগ পূরণ করে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সংসদ থেকে : বাংলাদেশের প্রথম সারির অধিক গুণগত মানসম্পন্ন ৩০টি ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দেশের চাহিদার ৯০ ভাগ পূরণ করে থাকে। ১০ ভাগ ঔষধ অন্যান্য মাঝারি  ও ছোট ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে।

রোববার জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তর পর্বে  সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ (চট্টগ্রাম-১১) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশের নামী-দামী কিছু কোম্পানির কিছু কিছু ব্রান্ডের ঔষধ নকল হয় যা অত্যন্ত নগণ্য। এসকল নকল ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে সংশ্লিষ্টদের  বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে। দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রায়শ:ই পরিবেশিত হচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে নকল, ভেজাল ও অবৈধ ঔষধ প্রস্তুতকারী, বিক্রয়কারী ও সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সরকার জেলা প্রশাসককে সভাপতি ও ঔষধ  তত্ত্বাবধায়ককে সদস্য সচিব করে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক, বাংলাদেশ  কেমিস্ট  এন্ড  ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের সমন্বয়ে সকল জেলার জন্য কার্যকরী ‘জেলা ঔষধের অনিয়ম প্রতিরোধ সংক্রান্ত অ্যাকশন কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি ঔষধের অনিয়ম সংক্রান্ত সকল বিষয়ে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।’ 

নাসিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন ( এটুআই) প্রোগ্রামের সহায়তায় ঔষধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া, নকল ঔষধ চিহ্নিত করণ এবং ঔষধ নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে বিক্রয়ের বিষয়ে অনলাইন ভিত্তিক রিপোটিং-এর জন্য ওয়েব পোর্টাল ও মোবাইল এপ্লিকেশন শীর্ষক একটি প্রকল্পের কার্যক্রম বর্তমানে পাইলটিং পর্যায়ে  রয়েছে। এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে জনগণ ঔষধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া বিষয়ে রিপোর্ট করতে পারবে। ঔষধের নির্ধারিত মূ্ল্য যাচাই করা সম্ভব হবে। দেশে যে কোন ভেজাল ও নকল ঔষধ  সম্পর্কে  স্বল্প সময়ে নিশ্চিত হতে পারবে। ঔষধ সংক্রান্ত যে কোন অভিযোগ দ্রুত দাখিল করতে পারবে।

সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের (সিলেট-৫) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘দেশে হৃদরোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে একটি করে স্বতন্ত্র হৃদরোগ বিশেষায়িত হাসপাতাল (উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য) পর্যায়ক্রমে নির্মাণ/স্থাপন করার পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যে সারা দেশের সকল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নতমানের হার্টের চিকিৎসার জন্য করোনারি কেয়ার ইউনিটসহ আলাদা হৃদরোগ চিকিৎসার সকল প্রকার ঔষধ (ব্যয়বহুলসহ) বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে এবং বেশ কিছু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এনজিওগ্রাম ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া  ঢাকায় অবস্থিত হৃদরোগ হাসপাতালে দেশের দরিদ্র জনসাধারণসহ সকল রোগীকে বিনামূল্যে/স্বপ্লমূল্যে হৃদরোগের উন্নতমানের বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।

গ্রামীণ দরিদ্র জনগণের দোড়গোড়ায় বিনামূল্যে বিশেষায়িত সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যার উন্নীত করে সেখানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞসহ ১০জন করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (মেডিসিন, সার্জারি, গাইনিঅবস, এনেসথেসিয়া, শিশু হৃদরোগ, ইএনটি, চক্ষু, অর্থোপেডিকস এবং চর্ম ও যৌন) পদ সৃষ্টিসহ জনবল পদায়ন করা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জানুয়ারি ২০১৮/আসাদ/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়