ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘জাতীয় ঐক্যের আন্দোলনের রূপরেখা শিগগিরই’

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১১, ১২ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘জাতীয় ঐক্যের আন্দোলনের রূপরেখা শিগগিরই’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে বিএনপির মেলবন্ধনে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের ব্যানারে শিগগিরই রূপরেখা ও আন্দোলনের কাঠামো প্রকাশ হবে বলে জানিয়েছেন মওদুদ আহমদ।

শুক্রবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারন্সে রুমে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম এই সদস্য।

তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের কারণে তারা (সরকার) মনে করছে আমাদের যে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া করতে যাচ্ছি ,এটাকে ব্যহত করা হবে। আমি বলব, এই রায়কে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করে, উপেক্ষা করে, এই রায়কে কোনো গুরুত্ব না দিয়ে আমাদের জাতীয় ঐক্যের আন্দোলন চলবে।’

‘খুব শিগগিরই আমরা এটার একটা রূপরেখা দেব এবং এই আন্দোলনের একটা কাঠামো ঘোষণা করব। এরপর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে এই সরকারের পতনের ব্যবস্থা করব। এই সরকার বাধ্য হবে সংলাপে আসতে।’

‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের রায় বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি’তে এই সভার আয়োজন করে ‘জিয়া পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের খুশি করার জন্য নানা সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এমনকি যারা অবসরপ্রাপ্ত, পেনশনের টাকা নিয়ে নিয়েছে তাদেরকেও আবার নতুন করে পেনশন দিচ্ছে। এতে যদি কিছু ভোট তারা পায়! এই ভোট পাওয়ার জন্য কওমি মাদ্রাসাদের স্বীকৃতি দিয়ে দিল। এই ভোট পাওয়ার জন্য প্রত্যেক দিন তারা প্রকল্প উদ্বোধন করছে। এগুলো সব হলো নির্বাচনী প্রকল্প, দেশের মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য করছে। এদের ৮০ ভাগই যদি ভোট দিতে যায়, তারা যে তাদের ভোট দিবে না এটা তারা জানে না।’

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা রায় নিয়ে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেত গিয়ে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘রায়ে আমরা খুব মর্মাহত হয়েছি। এ ধরনের ঘটনা আর যেন বাংলাদেশের মাটিতে না ঘটে সেটাই আমরা কামনা করি। এ ধরনের ঘটনাকে ঘৃণা করি আমরা। এই মামলায় যিনি সম্পৃক্ত ছিলেন না তাকে আজকে জড়িয়ে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায় সরকার।’

সুপ্রিম কোর্টের এই প্রবীণ আইনজীবী বলেন, ‘প্রথম চার্জশিটে তার (তারেক রহমানের) নাম ছিল না, মুফতি হান্নান যে স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছিল সেখানে তার নাম ছিল না। এফবিআইয়ের রিপোর্টে ছিল না, ইন্টারপোলের রিপোর্টে ছিল না। তারপরে এই সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরে আবার নতুন করে একটা বিতর্কিত ব্যক্তিকে দিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করে। অকথ্য অত্যাচার করে এই মুফতি হান্নানের কাছ থেকে জোর করে তারেক রহমানের নাম উচ্চারণ করিয়েছিল। মুফতি হান্নান আদালতে বলেছে, তার কাছ থেকে জোর করে তারেক রহমান উচ্চারণ করানো হয়েছে। সে তারেক রহমানকে চেনেও না। কোনো দিন সাক্ষাতও পায়নি তার।’

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে রাজপথে নামতে নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘রাজপথ ছাড়া খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। এখন আপনারা প্রস্তুতি নেন, সময় এসে গেছে। মাঠে নেমে এই দাবি আদায় করতে হবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবির মুরাদের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস এম হাসান তালুকদার, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া, মো. আনোয়ার প্রমুখ।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ অক্টোবর ২০১৮/রেজা/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়