এপ্রিলের মধ্যেই ট্যানারি পরিচালনার জন্য কোম্পানি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ঢাকার সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) পরিচালনার জন্য চলতি এপ্রিল মাসের মধ্যেই একটি কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন ট্যানারি শিল্প মালিকরা।

বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সাথে চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সাভার চামড়া শিল্পনগরীর সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম, অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান, এপেক্স ট্যানারির চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর ইলাহী, এলএফএমইএবির চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম, বিএফএলএলএফইএ এর চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিম, বিটিএ চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদসহ বুয়েট, বিসিক এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সাভার চামড়া শিল্পনগরীর সার্বিক অবস্থা বিস্তারিত পর্যালোচনা করে জানানো হয়, লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) নিরীক্ষক ও ইতালির পরামর্শকের প্রতিবেদন অনুযায়ী সাভার চামড়া শিল্পনগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের সার্বিক নির্মাণ কাজ সন্তোষজনক।  এতে কিছুটা নির্মাণ ঘাটতি থাকলেও তা সহজেই সমাধানের সুযোগ রয়েছে।  বিশেষ করে, সলিড ও লিকুইড বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনলে সিইটিপির শতভাগ সুবিধা পাওয়া সম্ভব।

সভায় চামড়া শিল্পনগরীর সলিড বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ল্যান্ডফিল্ড ডিজাইন অনুযায়ী বর্জ্য ডাম্পিং ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ক্রোম সেপারেশন ইউনিট সচল করার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

পাশাপাশি ট্যানারিতে পানির অপচয়রোধে শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত করার নির্দেশনার ব্যবস্থা ও এ লক্ষ্যে বিসিকের মাধ্যমে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় ট্যানারি মালিকরা সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে স্থাপিত সিইটিপিকে এশিয়ার সর্ববৃহৎ সিইটিপি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি পুরোমাত্রায় ব্যবহার করা গেলে দেশের চামড়া শিল্পখাত এশিয়ায় সপ্তম স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে চলে আসবে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে আট শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনের পর বাংলাদেশ আরো উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের টার্গেট নির্ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে।  এ টার্গেট পূরণে তৈরি পোশাকের পর চামড়া শিল্প দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত হতে পারে।  এ শিল্পখাতে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের বিরাট সুযোগ রয়েছে।’

তিনি লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের সনদ গ্রহণের মাধ্যমে দেশীয় গুণগতমানের চামড়া ব্যবহার করে এখাতে রপ্তানি বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি স্থানান্তর বর্তমান সরকারের একটি বিরাট সাফল্য। অতীতে কোনো সরকার এটি করতে পারেনি।  সরকার সাভার চামড়া শিল্পনগরীর কাজ সম্পন্ন করে দিয়েছে।  এটি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে ট্যানারি মালিকদের। ’ একইসাথে শিল্পনগরীতে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে বিসিক কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও দেন তিনি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ এপ্রিল ২০১৯/নাসির/সাইফুল