ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ডিমেনশিয়া রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৪, ১৮ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ডিমেনশিয়া রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশসহ পৃথিবীব্যাপী ডিমেনশিয়া রোগ ও এর ভয়াবহতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সচেতনতাই পারে সমাজে ডিমেনশিয়া রোগীদের অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে।

ডিমেনশিয়া রোগ সম্পর্কে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পিকেএসএফ, বাংলাদেশ ডিমেনশিয়া ফ্রেন্ডস্ কমিটি, বাংলাদেশ মেডিক্যাল স্টুডেন্টস সোসাইটি এবং আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার পিকেএসএফ ভবনে ‘ডিমেনশিয়া: যত্ন, ভালবাসা ও আশা’ শীর্ষক দিনব্যাপী এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং সূচনা বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবদুল করিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, ‘ডিমেনশিয়া রোগ সম্পর্কে বাংলাদেশে এখনো জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়নি। ফলে, এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা বেশ কঠিন। হাসপাতাল সকল সমস্যা সমাধান করতে পারে না; সুস্থতার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা।’

ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘ডিমনেশিয়া ‘আরোগ্য-অযোগ্য’ একটি রোগ যার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা। মানুষকে কেন্দ্র করে পিকেএসএফ-এর কার্যক্রম বিন্যস্ত এবং সেই আলোকে ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কাজ করছে পিকেএসএফ।’

মো. আব্দুল করিম বলেন, ‘এদেশের সমাজে ডিমেনশিয়া রোগীরা অবহেলিত, যার মূলে রয়েছে সচেতনতার অভাব। প্রবীণদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবীণ স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ নিশ্চিত করতে হবে এবং ডিমেনশিয়ার মতো রোগ সম্পর্কে প্রান্তিক পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।’

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ জসীম উদ্দিন, প্রাক্তন সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান লিটা, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ এবং জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর এনসিডি কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আব্দুল মালিক।

সেমিনারে জানানো হয়, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা ছিলো ৪ লাখ ৬০ হাজার। ২০৩০ সালে তা ৮ লাখ ৩৪ হাজার এবং ২০৫০ সালে ২১ লাখ ৯৩ হাজার হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ এপ্রিল ২০১৯/হাসান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়