ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

মেসি-ম্যাজিকের কেন এত মহিমা?

কমলেশ রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৮, ২৭ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মেসি-ম্যাজিকের কেন এত মহিমা?

|| কমলেশ রায় ||

দুটো বিশেষ মুহূর্তের কথা বিশেষ করে বলতে চাই। জানি, ফুটবলপ্রেমী সবার চোখে লেগে আছে। মনে গেঁথে আছে। তারপরও বলতে চাই।

এক. ম্যাচের তখন সবে ১৪ মিনিট। নাইজেরিয়ার গোলপোস্টে মেসির লক্ষ্যভেদী শর্ট এবং গোল...। পাখির ডানার মতো দুই হাত দুদিকে ছড়িয়ে দিলেন তিনি। যেন উড়তে চাইছেন! হয়ত ভেতরে ভেতরে উড়ছেনই। ভারমুক্ত হয়ে আপন আকাশে ফেরার আনন্দে। এক ফাঁকে মাথা তুলে উপরের দিকে তাকিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানালেন। গ্যালারিতে তখন আরেক কিংবদন্তির চাপমুক্ত হওয়ার প্রায় একই সমান উচ্ছ্বাস। কে তিনি? কে আবার, ডিয়াগো ম্যারাডোনা।

দুই. নাইজেরিয়া পেনাল্টি থেকে গোল করেছে, ম্যাচের ৫১ মিনিটে। টানটান উত্তেজনা। আর্জেন্টিনার ভাগ্য যেন সুতোয় ঝুলছে। পেন্ডুলামের মতো দুলছে। তখন খেলার ৮৬ মিনিট। দুর্দান্ত এক গোল করলেন মার্কোস রোহো। মেসি ছুটে এসে সওয়ার হলেন তাঁর পিঠে। এমন বাঁধনহারা উদযাপন করতে মেসিকে খুব বেশি দেখা যায়নি। তা করবেনই তো, এই গোলেই যে আর্জেন্টিনার শেষ ষোলতে যাওয়া নিশ্চিত হলো। গ্যালারিতে তখন আনন্দে আটখানা ম্যারাডোনা। উত্তেজনায় উদ্বেলিত। আশপাশের সবাইকে জড়িয়ে ধরছেন, আনন্দের আতিশয্যে বিভিন্ন ভঙ্গি করছেন।

কত সমীকরণ, কত জটিল অঙ্ক। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জিততেই হবে। তাতেও ছাড়পত্র মিলবে না। আইসল্যান্ডকে হারতে হবে ক্রোয়েশিয়ার কাছে। তবেই স্বপ্ন ধরা দেবে। আইসল্যান্ড হারল। অবশেষে অনেক হিসাব পেরিয়ে হাসি ফুটল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মুখে। রাজধানী ঢাকায় তো ওই গভীর রাতে সমর্থকেরা আনন্দ-মিছিল পর্যন্ত করে ফেলল। শেষ ষোলোয় এবার প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসি বলেছেন, ‘ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আছেন। তিনি চাননি আমরা বাদ পড়ি। জয়ের ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। যেভাবে ম্যাচ জিতেছি এককথায় তা অসাধারণ! এই জয় আমাদের প্রাপ্য ছিল।’ পাশাপাশি সমর্থকদেরও ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

গত রোববার (২৪ জুন) ছিল মেসির ৩১তম জন্মদিন। এত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আর কখনও তাঁর জন্মদিন হয়ত আসেনি। প্রথম ম্যাচ আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র। নিজের পেনাল্টি মিস। পরের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে তিন গোলের হার। ছন্নছাড়া খেলা। পুরো আর্জেন্টিনা দল বিধ্বস্ত। কোচ বরখাস্তের গুজব। গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ার শঙ্কা। বিশ্বকাপে ৬৬০ মিনিটের গোলখরা। এমন কঠিন সময়ে জন্মদিন উদযাপনে কারও মন কী সায় দেয়? জন্মদিনে এবার মেসির পাশে ছিল না পরিবার। কিন্তু পাশে না থেকেও তো বিশেষভাবে থাকা যায়। সেটাই করেছে তারা। পরিবারের কাছ থেকে মেসি পেয়েছেন দারুণ উপহার। স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো দিয়েছেন ভালোবাসাময় এক বার্তা।  ইনস্টাগ্রামের ওই বার্তায় দুজনের ছবি দিয়ে রোকুজ্জো লিখেছেন , ‘শুভ জন্মদিন, প্রিয়। আমরা তোমাকে অনেক ভালোবাসি! তোমাকে ধন্যবাদ, আামাকে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী নারী বানানোর জন্য। এমন একটা পরিবার দেওয়ার জন্য, যেটা আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তোমার সুখ কামনা করছি,  প্রিয়তম। সেটা এখনকার জন্য যেমন, চিরদিনের জন্যও।’ তিন ছেলেকে নিয়ে মেসির জন্মদিন পালন করেছেন রোকুজ্জো। জন্মদিন পালনের সেই ভিডিও এখন ভাইরাল। ভিডিওটিতে বড় দুই ছেলে থিয়াগো ও মাতেও বাবাকে বলছে, ‘আমরা তোমাকে খুশি দেখতে চাই। খুশি থাকাটা তোমার প্রাপ্য। আমরা সবাই তোমার সঙ্গে আছি।’



মেসি আপাতত নিশ্চয়ই খুশি। অথচ কত গুঞ্জন। কত তার ডালপালা। ‘মেসির সঙ্গে স্ত্রীর মনোমালিন্য চলছে’, ‘মেসির পরিবারের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না রোকুজ্জোর’। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার প্রথম দুই ম্যাচ রোকুজ্জো দেশে থেকেই দেখেছেন। গুঞ্জনের পালে সেটি আরও বেশি করে হাওয়া জুগিয়েছে। রোকুজ্জোও কম যান না। গুঞ্জনের আঁচে পানি ঢেলে দিয়েছেন তিনি। আর্জেন্টিনার টিভি ব্যক্তিত্ব সিন্থিয়া ফার্নান্দেজকে খুলে বলেছেন পেছনের কারণ। তাকে রোকুজ্জো বলেন, ‘তৃতীয় সন্তান সিরোর বয়স মাত্র তিন মাস। তাকে দেখাশোনার জন্যই দুজনের যৌথ সিদ্ধান্তে আর্জেন্টিনায় থেকে গেছি আমি।’ তবে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের বাঁচা-মরার ম্যাচের আগে ঠিক তিন ছেলেকে নিয়ে উড়ে এসেছেন রাশিয়ায়। এজন্য কম ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। শ্রমিক ধর্মঘটের মধ্যে রোজারিও থেকে স্পেন হয়ে আসতে হয়েছে রাশিয়ায়। পরিবারের উপস্থিতিই হয়ত টনিক হয়ে দেখা দিয়েছে মেসির ক্ষেত্রে।

জন্মদিনে দলের প্রাণভোমরাকে শুভেচ্ছা জানাতে আর্জেন্টিনার সতীর্থরাও যথেষ্ট সচেষ্ট ছিলেন। তারা তিনটি কেক এনেছিলেন প্রিয় মেসির জন্য। সার্জিও আগুয়েরো নিজেদের দুজনের ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়ে প্রিয় বন্ধুকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ‘তোমাকে ভালোবাসি।’ সতীর্থদের এমন আন্তরিক আয়োজনের পরই মেঘ কেটে যায়। গুমোট আবহাওয়া সরে গিয়ে মেঘের কোলে হাসে ঝলমলে রোদ। মেসির মুখে ফিরে আসে হাসি। তার মুখের হাসি ছড়িয়ে পড়ে পুরো আর্জেন্টিনা দলের মুখে। ঘুরে দাঁড়াতে এক হয়ে লড়াই করার শপথ নেন সবাই। শেষ ষোলতে ওঠার পর সেই হাসি এখন ছড়িয়ে গেল সবখানে। সেই হাসি এখন প্রতিটি আর্জেন্টিনাবাসীর মুখে। গোটা পৃথিবীর আর্জেন্টিনা-সমর্থকদের মুখে।

আর্জেন্টিনা দল বেস ক্যাম্প করেছে ব্রোনিৎসিতে। শহরটির মানুষ মেসির জন্মদিন পালন করেছে বেশ ঘটা করে। বানানো হয়েছিল বড় সাইজের একটা কেক। চকলেটের এই কেকটি আসলে ছিল মেসিরই প্রতিকৃতি। কোমরে হাত দিয়ে বল পায়ে দাঁড়ানো মেসি। মানুষের এত ভালোবাসার দাম তো মেসি বরাবরই নিজের খেলা দিয়ে চুকিয়ে আসছেন। আবারও চুকালেন। ব্রোনিৎসির বাসিন্দারা এখন বেজায় খুশি। বার্সেলোনার সাবেক অধিনায়ক কার্লেস পুয়োল যে বার্তাটা টুইট করেছেন সেটা ভীষণ অনুপ্রেরণার। তিনি বলেছেন, ‘কখনোই নিজের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে সন্দিহান হয়ো না লিও। তোমার অর্জন করা হাজারও সাফল্যের সঙ্গে বিশ্বকাপ জয়ের সাফল্যটাও তোমার প্রাপ্য।’ ম্যাচের আগে এই প্রেরণা-বার্তা মেসিকে নিঃসন্দেহে উজ্জীবিত করেছে।

১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ডিয়াগো ম্যারাডোনা আস্থা রেখেছিলেন মেসিদের প্রতি। নাইজেরিয়ার সঙ্গে ম্যাচের আগে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের জিততেই হবে। আমার বিশ্বাস, আর্জেন্টিনা পারবে।’ হ্যাঁ, মাঠে বসে তিনি নিজ চোখে দেখেছেন মেসিরা পেরেছেন। তাঁর আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। সেই আনন্দ-উত্তেজনায় আবেগের তোড়ে ভেসে তিনি বোধকরি বয়স ভুলে একটু বেশিই উদযাপন করে ফেলেছিলেন। মানসিক চাপের অতটা ধকল শরীর ঠিক নিতে পারেনি। আর তাই ভিআইপি গ্যালারি থেকে তাকে সরাসরি যেতে হয়েছে হাসপাতালে। তবে তিনি ভালো আছেন। সুস্থ আছেন।

মেসির মা সেলিয়া কুচিত্তিনি আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরের বাড়িতে বসে একটাই স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্নটা হলো, তাঁর ছেলের হাতে উঠবে বিশ্বকাপের ট্রফি। আপাতত মায়ের সেই স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছেন মেসি। তবে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের কণ্ঠেও শোনা যায় একই স্বপ্ন ছোঁয়ার প্রত্যয়। বিশ্বকাপ ট্রফি না জিতে তিনি বুটজোড়া তুলে রাখতে চান না। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে আনন্দ করছি, ছেলেবেলা থেকেই এই একটা স্বপ্ন মনের ভেতরে পুষে রেখেছি। বিষয়টা ভাবলেই গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। সবার মতো আমিও এই স্বপ্নকে ছেড়ে দিতে পারি না। আমরা বিশ্বকাপ জিতব, গোটা দেশ আনন্দ করবে। এই ছবিটা অবশ্যই দেখতে চাই।’ জন্মদিনে এক সাক্ষাৎকারে মেসি তাঁর ভক্ত-সমর্থকদের দিয়েছেন অন্যরকম প্রতিশ্রুতি। তিনি বলেন, ‘ক্লাব ফুটবলের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ ট্রফি জিতেছি। এখন চাই দেশের জন্য একটা বিশ্বকাপ। ২০১৪ সালে আমরা পারিনি। এবার সেই চেষ্টাটাই করছি। বিশ্বকাপ না জিতে অবসরে যেতে চাই না।’ এবার অপেক্ষার পালা। দেখা যাক কী হয়। মেসি আসলেই তাঁর আশৈশব লালিত স্বপ্নের ‘সওদা’ করতে পারেন কিনা।



সমর্থকদের মনে একটা আশা ছিল। জোরালো ভাবেই ছিল। কারণ এর আগে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে কখনও হারাতে পারেনি নাইজেরিয়া। মজার বিষয়, আগের চারবার নাইজেরিয়ার সঙ্গে আর্জেন্টিনার জয় এসেছে এক গোলের ব্যবধানে। এবারও তাই। ২-১, ব্যবধান সেই এক গোল। মেসির গোলটি এই বিশ্বকাপের শততম গোল। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে টিনএজ (১৩ থেকে ১৯), বিশ ও ত্রিশ বছরের তিন সীমাতেই গোল পাওয়া প্রথম খেলোয়াড় তিনি। আরও আছে। ম্যারাডোনা ও বাতিস্তুতার পর তিন বিশ্বকাপে গোল পাওয়া তৃতীয় আর্জেন্টাইন তিনি। বিশ্বকাপের মৌসুমে এখন ঘরে ঘরে ফুটবল বিশেষজ্ঞ। বুধবার সকালে তেমনি এক আম-ফুটবল বোদ্ধা ফোন করলেন। গলায় উত্তেজনা। তিনি বললেন, ‘বুঝলে তো, সব খেলাই শেষপর্যন্ত আসলে সাইকোলজিক্যাল গেম। প্রথম ম্যাচে রোনালদো হ্যাটট্রিক করল। অতিমানবীয় খেলা খেলল। আর মেসি চাপে পড়ে গেল। প্রত্যাশার চাপ, বুঝলে কিনা। প্রথম ম্যাচে পেনাল্টি মিস করল। পরপর দুই ম্যাচ খারাপ খেলল। নিজেই যেন নিজের ছায়া। যেই রোনালদো পেনাল্টি মিস করল, অমনি মেসি চাঙ্গা। স্বরূপে ফিরল। দুজনের মধ্যে মানসিক লড়াইটা তো বরাবরই চলে। বুঝতে পেরেছো?’

ইচ্ছে হচ্ছিল, বলি, আমি বুঝতে পারলেই কী সময়ের দুই সেরা চাপমুক্ত হবেন? নিজেকে সংযত করলাম। কথায় কথা বাড়ে। হাজার হোক বয়স্ক মানুষ। একটা মতামতই তো দিয়েছেন। তার বেশি কিছু তো না।

ব্রাজিলের কট্টর সমর্থক, তারপরও মেসির খেলা পছন্দ করে আমাদের দেশে এমন লোকের সংখ্যা কিন্তু অনেক। কেউ কেউ তো মুখ ফসকে বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনা জেতায় খুশি হয়েছি। প্রথম রাউন্ড থেকে দলটি বাদ পড়লে বিশ্বকাপের আকর্ষণ কমে যেত। মেসির খেলা দেখা বঞ্চিত হতাম।’ মেসির গ্রহণযোগ্যতা এমনই। তাঁর প্রতিপক্ষের সমর্থকরাও তাকে ভালোবাসে। অনেকটা মাথায় করেই রাখে। খোদ বিশ্বকাপও হয়ত একটু স্বস্তি পেয়েছে। কারণ মেসি এখনও বিশ্বকাপে আছেন। ছিটকে পড়তে গিয়েও পড়েননি।

রাশিয়া বিশ্বকাপে মেসিদের আসার পথটাও কিন্তু মসৃণ ছিল না। চূড়ান্ত পর্বে ওঠার আগেই ছিটকে পড়তে যাচ্ছিল আর্জেন্টিনা। বাছাই পর্বে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে ইকুয়েডরের বিপক্ষে মেসি করেন দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক। আর তাতেই সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার টিকিট পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। সবমিলিয়ে রোহোর চোখে মেসিই সেরা। তিনি বলেন, ‘মেসি আমাদের অধিনায়ক। তিনি আমাদের আত্মবিশ্বাস হওয়ার রসদ জুগিয়েছেন। উদ্বেগে না ভুগে শান্ত থাকতে বলেছেন। গোলটা করতে পেরে আমি ধন্য। মেসি বিশ্বের সেরা অধিনায়ক। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’

মেসি আসলে এক ফুটবল জাদুকর। অনেকে বলেন ‘ভিনগ্রহের খেলোয়াড়’। বারবার খাদের কিনারা থেকে ফিরে আসেন। ভস্ম থেকে উঠে আসেন ফিনিক্স পাখির মতো। স্বভাবে তিনি ধীর-স্থির। বিনয়ী-সংযত। এবং অতি অবশ্যই লক্ষ্যভেদী। তিনি ভালো খেললে আর্জেন্টিনা জেতে। রক্তাক্ত হওয়ার পরও সেই সতীর্থ জান দিয়ে লড়ে যায়। এখানেই মেসি-ম্যাজিক। মেসি-মাহাত্ম্য। মেসি-মাধুর্য। ফুটবলমোদীদের মনে যা নিমিষেই গেঁথে যায়। ফুটবল-জাদুর আশ্চর্য এক মহিমায় আচ্ছন্ন করে রাখেন তিনি।

লেখক: সাংবাদিক ও সাহিত্যসেবক




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ জুন ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়