ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নেইমারকে কতটা লড়াই করতে হয়?

কমলেশ রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:০৮, ১ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নেইমারকে কতটা লড়াই করতে হয়?

|| কমলেশ রায় ||

রেফারি শেষ বাঁশি বাজালেন। সতীর্থরা জয় উদযাপনে ব্যস্ত। মাঠে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন নেইমার। দুই হাত দিয়ে চোখ-মুখ ঢেকে ভেসে গেলেন আবেগের তোড়ে। কী আশ্চর্য ! তিনি কাঁদছেন। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন। এ কান্না চাপমুক্তির আনন্দে। নিজেকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে। গোল পাওয়ার স্বস্তিতে। সতীর্থরাও যেন তাকে কাঁদার অবসরটুকু দিলেন। ভেতরে জমে থাকা কষ্ট, চাপ, সমালোচনার ক্ষত যদি এই কান্নায় ধুয়ে যায় তো যাক না।

ব্রাজিল বনাম কোস্টারিকা ম্যাচটি অনেক দিক দিয়ে আলাদা। বিশ্বকাপে এই প্রথম যোগ করা সময়ে জিতেছে ব্রাজিল। আর নেইমার তো গোল করেছেন ৯৬ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে। এটিও রেকর্ড। বিশ্বকাপে সবচেয়ে দেরিতে হওয়া গোল এটি। আর এই গোল করে নেইমার ছাড়িয়ে গেলেন বিশ্বকাপজয়ী পূর্বসূরি রোমারিওকে। ৫৬ গোল করে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় তিনি এখন তৃতীয়। সামনে আছেন রোনালদো (৬২ গোল) আর পেলে (৭৭ গোল)। এতটুকু বললেই সব বলা হয় না। নেইমার কেন কেঁদেছেন সেটাও খুব একটা পরিস্কার হয় না। বোঝা যায় না, ভেতরে কতটা রক্তক্ষরণ হলে জয়ের পরও এতটা চোখের জল ঝরে। এই পর্যন্ত আসতে তাকে কতটা লড়াই করতে হয়েছে, সেটা না জানলে এই কান্নার মাহাত্ম্যটা ঠিক বোঝা যায় না। চোটে পড়ে বিশ্বকাপই খেলতে পারেন কিনা, একসময় সেটা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছিল। ব্রাজিলে তো হাহাকারই শুরু হয়ে গিয়েছিল। সফল অস্ত্রোপচার শেষে দীর্ঘদিন  চলে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। অবশেষে সাড়ে তিন মাস পর মাঠে ফিরেছেন ২৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। খেলেছেন বিশ্বকাপের শেষ দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ। নিজেকে প্রমাণও করেছেন ম্যাচ দুটোতে। বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে তেমন উজ্জ্বল কিছু করতে পারেননি। সুবিচার করতে পারেননি নিজের নামের প্রতি। বরং হালকা চোটও পেয়েছিলেন। আর অমনি শুরু হলো সমালোচনার সুনামি।

কেউ বলেছেন, নেইমার স্বার্থপর। নিজের জন্য খেলেন। পা বাঁচিয়ে লুকিয়ে থাকেন। কেউ বলেছেন, নেইমার নাটুকে। যত না ভালো খেলছেন, তার চেয়ে বেশি ভালো অভিনয় করছেন। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের হালকা স্পর্শেই মাঠে গড়াগড়ি খাচ্ছেন। কেউ আবার বলেছেন, তাকে অনেক আগেই তুলে নেওয়া উচিত ছিল। তার জায়গায় কস্তাকে নামালে বরং ভালো হতো। নেইমারের বল নিজের পায়ে ধরে রাখার প্রবনতারও সমালোচনা করেছেন অনেকে। তার চুলের স্টাইল নিয়েও শুরু হয় নানা ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য। ব্রাজিলিয়ান ওয়েবসাইট এক্সট্রা লেখে: ‘হেয়ারস্টাইল ১০ আর ফুটবল ০।’ অন্য একটি সংবাদপত্র আরও একধাপ এগিয়ে লিখেছে: ‘নেইমারকে দেখে কাকাতুয়া মনে হচ্ছিল, কিন্তু এটি গান গায় না।’ ফ্রান্সের বিখ্যাত ফুটবলার এরিক কঁতোনা ইনস্টাগ্রামে নেইমারের একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন: ‘ঠিক যেন স্প্যাগেত্তি (সেমাই জাতীয় খাদ্য)।’ আরও অনেকেই নেইমারের সোনালী চুলকে নুডলস ও সেমাইয়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বয়ে যাচ্ছে ঝড়। নেইমার-ভক্তরাও পাল্টা তীর ছুঁড়ে জবাব দিচ্ছেন। এই কাঁদা-ছোড়াছুড়ির বিষয়টি ভালো লাগেনি নেইমারের বাবার। নেইমার-ভক্তদের কাছে তাই একটা অনুরোধ করেছেন তিনি। গ্লোবোইস্পোর্তের ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনারা শান্ত থাকুন। কাউকে অপমান করবেন না। জুনিনহোকে (নেইমার) সমর্থন করতে চাইলে সেটা ইতিবাচক ভাবেই করুন।’ কাউকে অপমান করলে তাঁর ছেলের ‘অভিশাপ’ লাগতে পারে বলে মনে করেন সিনিয়র নেইমার। সেটার চেয়ে বরং ছেলের জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন তিনি।



কোস্টারিকার সঙ্গে ম্যাচ শেষে ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা বললেন, ‘নেইমার আমাদের সেরা খেলোয়াড়। আমরা সবাই তাকে ভালোবাসি। আমরা জানতাম বিশ্বকাপে নিজেকে খুঁজে পাওয়াটা ওর জন্য সময়ের ব্যাপার। নেইমার অনেক আবেগপ্রবণ। ওর বুকের মাঝে ব্রাজিলের পতাকা আঁকা। ও আজ খুব করে জয়টা চাইছিল। একটা গোলের প্রত্যাশাও ছিল ভেতরে। দুটোই পেয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি সে।’

এত চড়াই-উতরাই ব্যক্তি নেইমারকে দৃঢ় করেছে। উপহার দিয়েছে অন্যরকম জীবনবোধ। তিনি বলেন, ‘এই জায়গায় আসতে আমাকে অনেক কিছু করতে হয়েছে। আমার এই কান্না আনন্দের, এগিয়ে যাওয়ার। আসলে জীবন সহজ নয়। আমি সবসময় স্বপ্ন দেখি। কখনও এটা বন্ধ করি না।’ তবে নেইমারের পেনাল্টি আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় অসন্তুষ্ট ব্রাজিলের কোচ তিতে। তিনি বলেন, ‘আমি রেফারি হলে একবার পেনাল্টি স্পটের দিকে হাত বাড়িয়ে কখনও ভিএআর চাইতাম না। জেতার জন্য রেফারির সাহায্য আমাদের লাগবে না। খেলেই জিতব।’

গ্রুপ সেরা হয়েই শেষ ষোলতে উঠেছে ব্রাজিল। সার্বিয়ার বিপক্ষে তারা জিতেছে ২-০ গোলে। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে কুতিনহোর চোখ ধাঁধানো এক পাস থেকে প্রথম গোলটি করেন পাওলিনহো। আনন্দে দৌড়ে এসে তার কাঁধে চড়ে বসেন নেইমার। দ্বিতীয় গোলটা আসে ৬৮ মিনিটে। নেইমারের নেওয়া কর্নারে থিয়াগো সিলভার দুর্দান্ত হেডে। উল্লেখ করার মতো ব্যাপার, বিশ্বকাপে থিয়াগো সিলভার দুটি গোল। আর দুটিরই উৎস নেইমারের কর্নার! সিলভা গোল করার পর নেইমার ইশারায় তাকে হয়ত সেটাই বলেছিলেন। তিনিও সঙ্গে সঙ্গে নেইমারের দিকে উড়ন্ত চুমু ছুঁড়ে দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেননি। সেদিন নেইমারের ভাগ্য সহায় ছিল না। নইলে তার নামের পাশেও এক বা একাধিক গোল থাকতে পারত। বার চারেক তো গোলের একেবারে কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন তিনি। এই সার্বিয়ার বিপক্ষের ম্যাচের আগে অভিনব এক অফার দিয়ে হইচই ফেলে দেয় ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর এক পানশালা। রিও স্যার ওয়াল্টার পাব নামের ওই পানশালার মালিক ফেসবুক বিজ্ঞাপনে ঘোষণা দেন: ‘এখন থেকে যতবার মাঠে পড়ে যাবেন নেইমার, ততবার ক্রেতারা পাবেন এক মগ করে বিয়ার ফ্রি।’ বুঝুন অবস্থা ! ব্রাজিলে নেইমারকে নিয়ে মাতামাতির এটা একটা ক্ষুদ্র নমুনা মাত্র।

নেইমারের ব্যক্তিগত জীবনও যেন চিত্রনাট্যের মতো। ২০১১ সালের আগস্টে মাত্র ১৯ বছর বয়সে বাবা হন তিনি। তার ছেলের নাম দাভি লুকা। লুকার মায়ের নাম ক্যারোলিনা দান্তাস। যদিও এখন আর নেইমারের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। ব্রাজিলিয়ান মডেল ও অভিনেত্রী ব্রুনা মারকুইজিনের সঙ্গে এরপর সম্পর্কে জড়ান নেইমার। সেই সম্পর্কও ২০১৫ সালে ভেঙে যায়। কিছুদিন বাদে আবার জোড়া লাগে। এখনও চলছে। ব্রুনা মারকুইজিন বলেছেন, ‘নেইমারের মানসিক দৃঢ়তা কতটা, সেটা আমার চেয়ে ভালো কেউ জানে না। এবার সে বিশ্বকাপ জেতার জন্য মরিয়া। তার হাতে বিশ্বকাপ উঠলেই বিয়ে করে ফেলব।’ ব্রুনা নিজেও বিশ্বাস করেন এবার রাশিয়া থেকে তার দেশ বিশ্বকাপ নিয়েই ফিরবে। নেইমারকে মানসিক শক্তি জোগাতে তাই তিনিও হাজির হয়েছেন রাশিয়ায়। মা নাদিন দ্য সিলভাকে সব সময় পাশে পান নেইমার। মায়ের সঙ্গে খুব সখ্য তার। টাকার অভাবে তার জন্মের আগে মায়ের আলট্রাসাউন্ড করাতে পারেননি বাবা। বেঁচে থাকার জন্য তার মা রাঁধুনি হিসাবে কাজ করতেন একটি চাইল্ড কেয়ারে। মা বরাবরই খেলতে উৎসাহ দিতেন। এখন ছুটে আসেন মাঠে। এ বছর আস্ত্রোপচারের সময় নেইমারের পাশেই ছিলেন মা নাদিন। ব্রাজিলের ফুটবল সুপারস্টার বলেন, ‘আমার মা আমাদের জন্য সবকিছু করেছেন। মা সব সময় আমার সঙ্গে আছেন।’ শোনা যায়, মায়ের উৎসাহেই বার্সা থেকে পিএসজিতে গেছেন নেইমার। আগামী ২ জুলাই শেষ ষোলতে প্রতিপক্ষ মেক্সিকো। ব্রাজিল আরও সামনের দিকে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিশ্বকাপ ট্রফিটা ঘরে নিয়ে যাওয়াই তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। আর এই কঠিন যাত্রায় তাদের স্বপ্ন সারথি অবশ্যই নেইমার।



ব্রাজিল দলে নেইমার কী বা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বুঝতে চার বছর আগের সেমিফাইনালই যথেষ্ট। চোটের কারণে ওই ম্যাচে তাঁর অনুপস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছিল ব্রাজিল। জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলে হারের লজ্জা তার প্রমাণ। ২০১৪ সালের ওই বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে হুয়ান জুনিগার হাঁটুর আঘাতে পিঠের হাড় ভেঙে মাঠ থেকে হাসপাতালে চলে যান নেইমার। অথচ রেফারি ফাউল পর্যন্ত দেননি! এ প্রসঙ্গে ব্রাজিল তারকার নিজের ভাষ্য হলো, ‘সেটি হজম করা তো কঠিনই ছিল। ওই চোটের কারণে আমি পরের ম্যাচটাও খেলতে পারিনি। আর এমনই চোট যে, আমার ক্যরিয়ার শেষও হয়ে যেতে পারত ওখানে। আঘাতটা আর দুই সেন্টিমিটার ডানে লাগলেই হয়েছিল! বাকি জীবন হুইলচেয়ারে কাটাতে হতো। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, চিকিৎসার পর দ্রুত ফিরতে পেরেছিলাম আমি।’

নেইমার রেকর্ড নিয়ে ভাবতে পছন্দ করেন না। ভাবেন না নিজের আর্দশ পেলে, রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাওয়া নিয়েও। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার জন্য লড়াই করছি না আমি। আমার কাছে এটা শুধুই সংখ্যা। জিকো, রোমারিও, রোনালদো, পেলে সবাইকে শ্রদ্ধা করি আমি। তাঁরা আমার আর্দশ, আমার আগে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। আমি দলকে সাহায্য করতে পেরে খুশি। খুশি গোল করতে পেরেও। তবে আমি তাদের চেয়ে ভালো হওয়ার লড়াই করতে চাই না। আর তা কখনও হতেও পারব না।’ এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় দুজন। মেসি আর নেইমার। প্রত্যেকে ১৮ কোটি ইউরো পান, যা প্রায় ১৭৮৮ কোটি টাকা। মেসির প্রতি বরাবরই নেইমারের পক্ষপাতীত্ব। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে আমলে নেওয়ার পরও মেসিই তার চোখে সেরা। আর্জেন্টিনা যখন ক্রোয়েশিয়ার কাছে তিন গোলে বাজেভাবে হেরেছে, তখন মেসিকে ফোন দিয়েছেন নেইমার। সান্ত্বনা দিয়েছেন, সাহস জুগিয়েছেন সাবেক ক্লাব সতীর্থকে।

নেইমার ব্রাজিল দলের প্রাণভোমরা। ব্রাজিলের ‘পোস্টারবয়’। শুধু চুলের কাটিংয়ে নয়, চলনে-বলনেও স্টাইলিস্ট। পছন্দ করেন ব্র্যান্ডের জিনিস। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের আগে টোকিও থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার দিয়ে একটি ঘড়ি কিনেছিলেন। সেবারই প্রথম টের পাওয়া যায় ঘড়ি কতটা পছন্দ করেন তিনি। হেডফোনও খুব পছন্দ নেইমারের। হরেকরকম হেডফোন কানে গান শুনতে দেখা যায় তাকে।  মাঠেও তিনি করেন নজরকাড়া অনেক কাণ্ড। কোস্টারিকার বিপক্ষে ম্যাচে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের মাথার ওপর দিয়ে বল উঠিয়ে নেওয়া ‘রেইনবো ফ্লিক’টি অনেক দিন মনে থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের।

জার্মানির বিদায়ে ব্রাজিল সমর্থকরা উল্লসিত। তারা আরও বেশি আশাবাদী। এই মুহূর্তে বাজিকরদের সবচেয়ে বেশি ফেভারিট ব্রাজিল। প্রত্যাশার পারদ ক্রমেই চড়ছে। সঙ্গে যোগ হচ্ছে সংস্কার কিংবা বিশ্বাস। নেইমারের জার্সি নাম্বার ১০, কুতিনহোর ১১। এই দুইয়ের মেলবন্ধন নাকি বয়ে আনে মঙ্গলবার্তা। ১৯৯৪ সালে ১০ নাম্বার জার্সি ছিল রাইয়ের, রোমারিওর ১১ নাম্বার। ২০০২ সালে ১০ নাম্বার জার্সি ছিল রিভালদোর, ১১ নাম্বার রোনালদিনহোর। প্রতিটি যুগলবন্দি এনে দিয়েছে সাফল্য। শুধু ভক্ত-সমর্থকরা নয়, ব্রাজিলের সাবেক ফুটবল তারকাদের অনেকেও এমন বিশ্বাস নিয়ে বসে আছেন। কাকতালীয় হলেও কেউ কেউ এই ১০ ও ১১ নাম্বার জার্সির মেলবন্ধনে পিএসজি-বার্সা সূত্রেরও মিল খুঁজে পাচ্ছেন। ভক্তদের স্বপ্নের পালে এটাও বাড়তি প্রত্যাশার হাওয়া দিচ্ছে। কোচ তিতে অবশ্য বলেছেন, ‘ব্রাজিল প্রত্যাশায় নয়, বাস্তবতায় বাঁচে।’ নক আউট পর্ব থেকে শুরু হচ্ছে কঠিন বাস্তবতা। হারলেই সব শেষ। তিতের ব্রাজিল অবশ্য তাতে মোটেই ভীত নয়। বরং ভীষণ চাঙ্গাই বলা যেতে পারে। সামনের প্রতিটি ম্যাচে তারা হলুদ প্রজাপতির মতো ডানা মেলে উড়তে চায়। আর বলা বাহুল্য, এই দলের সবচেয়ে বড় ও রঙিন ডানাওয়ালা প্রজাপতির নাম নেইমার। ‘হেক্সা’ ট্রফিটা ছুঁয়ে দেখতে ব্যাকুল হয়ে আছেন ব্রাজিলের এই লড়াকু মহাতারকা।

লেখক: সাংবাদিক ও সাহিত্যসেবক




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ জুলাই ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়