ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

বাংলাদেশ কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড চাই

ইয়াসির আরাফাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৩, ২২ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাংলাদেশ কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড চাই

ইয়াসির আরাফাত: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের ন্যায় সরকারি এবং প্রকল্পে জনবল নিয়োগের জন্য আরেকটি বাংলাদেশ কর্মচারী কর্মকমিশন বা বাংলাদেশ কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড সৃষ্টি করা যেতে পারে। কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড দেশের সকল মন্ত্রণালয়ের ১১তম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডের সকল কর্মচারী নিয়োগ করবে। শুধুমাত্র দেশের সকল মন্ত্রণালয় তাদের জনবল কাঠামো অনুযায়ী মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের শূন্য পদে জনবল নিয়োগের চাহিদাপত্র তৈরি করবে।

দেশের সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে একই পদবিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও  বেতন স্কেল সমন্বয় করবে নতুন এই কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড। কারণ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বেতন স্কেল বৈষম্য রয়েছে। দেশের সকল মন্ত্রণালয় প্রতি বছরের নির্দিষ্ট সময়ে প্রস্তাবিত অনলাইনে পূরণকৃত চাহিদাপত্রসমূহ বাংলাদেশ কর্মচারী নিয়োগ বোর্ডে জমা প্রদান করবেন। চাহিদাপত্রসমূহ সমন্বয় করে কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন এবং একই পদবির জন্য সারাদেশে বিভাগীয় শহরগুলোতে একযোগে পরীক্ষা নিবেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভাইবা পরীক্ষা গ্রহণের পর প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। তালিকায় ঠিক ততজন থাকবেন যে সংখ্যক জনবল বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের প্রয়োজন। প্রথম মেধা তালিকায় উত্তীর্ণদের সকলেই তাদের মেধার ভিত্তিতে পছন্দক্রমে মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরে নিয়োগ পাবেন। একজন চাকরিপ্রত্যাশী চূড়ান্তভাবে প্রথমে যে মন্ত্রণালয়ে বা যে অধিদপ্তরে নিয়োগ পাবেন ঐ মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর ব্যাতীত অন্য মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরে বদলি হতে পারবেন না।

সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। প্রকল্পসমূহে যে জনবল নিয়োগ করতে হয়, সেখানে দ্বিতীয় মেধা তালিকা থেকে জনবল নিয়োগ করা হবে। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় মেধা তালিকার সবাই নিয়োগ পাবে। কেননা সরকারি প্রকল্পের জনকাঠামো সব সময় স্থির নয়, এবং প্রকল্পের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। একবার কেউ যদি প্রকল্পে নিয়োগ লাভ করে, পরে যদি প্রকল্প সমাপ্ত হয় সেক্ষেত্রে প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

বাংলাদেশ কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড সৃষ্টি করা হলে যে সকল আরো সুবিধা পাওয়া যাবে তা হলো- কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি তহবিল ব্যয় হ্রাস পাবে, সময় বাঁচবে, মেধা এবং শ্রম লাঘব হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর প্রায়ই নিয়োগপত্র জারি করে থাকে। বাংলাদেশ কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড হলে প্রায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের নিয়াগ বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে না। আগ্রহী প্রার্থীদের ঢাকা গিয়ে বা দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড হলে ঢাকা গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না। এতে বেকার প্রার্থীদের অর্থ ব্যয় হ্রাস পাবে, সময় ও শ্রম লাঘব হবে। অতএব এই সকল বিষয় বিবেচনা করে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে সকল পার্টির নির্বাচনী ইশতেহারে বিষয়টি যুক্ত করার অনুরোধ করছি। 

লেখক: রাইজিংবিডির পাঠক, তেগুরিয়া, কচুয়া, চাঁদপুর থেকে




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ নভেম্বর ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়