ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে পরাজিত সকল প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

বাদল সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৮, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গোপালগঞ্জে পরাজিত সকল প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের তিন আসনে পরাজিত সকল প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। প্রাপ্ত মোট ভোটের শতকরা ৮ ভাগ না পাওয়ায় এ সব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।

জেলার তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতে বিএনপির প্রার্থীরা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেননি। তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট হাজারের কোটা পার হয়নি।

গোপালগঞ্জ-০৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। যা কাস্টিং ভোটের ৯৯ দশমিক ৭৪ ভাগ। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী এস এম জিলানী পেয়েছেন মাত্র ১২৩ ভোট। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রার্থী মো. মারুফ শেখ হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৭১ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. এনামুল হক আপেল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ ভোট এবং অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. উজীর ফকির সিংহ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ ভোট। পরাজিত ৪ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। 

গোপালগঞ্জ-০২ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ২ লাখ ৮১ হাজার ৯০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। যা কাস্টিং ভোটের ৯৯ দশমিক ৩৫ ভাগ। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী তসলিম সিকদার ৬০৮ ভোট পেয়েছেন। আর জেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ পেয়েছেন ২৮৬ ভোট। আসনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলুল করিম সেলিমের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন।

গোপালগঞ্জ-০১ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান ৩ লাখ ৩ হাজার ১৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। যা কাস্টিং ভোটের ৯৯ দশমিক ৩৬ ভাগ। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৭০২ ভোট। ধানের শীষের প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর পেয়েছেন ৫৭ ভোট ও বাসদের মো. ইছাহাক মোল্যা মই প্রতীকে পেয়েছেন ২১ ভোট। এ আসনে পরাজিত তিন প্রার্থীর জামানত হারিয়েছেন।

আসন তিনটিতে ৮ লাখ ৮০ হাজার ১৩৮ ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা পেয়েছেন ৮ লাখ ১৪ হাজার ১৬২ ভোট। পক্ষান্তরে বিএনপি প্রার্থীরা পেয়েছেন ৪৬৬ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮১ ভোট, বাসদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৩৫ ভোট।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।



রাইজিংবিডি/গোপালগঞ্জ/৩১ ডিসেম্বর ২০১৮/বাদল সাহা/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়