ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কাদেরের বক্তব্যে শঙ্কা বেড়েছে বিএনপির

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ২০ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কাদেরের বক্তব্যে শঙ্কা বেড়েছে বিএনপির

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে বিএনপির উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পর শঙ্কা আরো বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন-হায়াত-মউত আল্লাহ’র হাতে, এখানে কারো হাত নেই। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য আরো ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত বহন করে। ওবায়দুল কাদেরের ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্যে আমরা দেশনেত্রীর জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আরো বেশি উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করছি।’

‘ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে প্রমাণিত হলো যে, সত্যি সত্যি তারা বিএনপি চেয়ারপারসনের জীবন নিয়ে একটা গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই-অবিলম্বে দেশনেত্রীর ইচ্ছানুযায়ী রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হোক, অন্যথায় জনগণের রুদ্ররোষ থেকে কেউই রেহাই পাবে না’, বলেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করছে না অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার শারীরিকভাবে অসুস্থ দেশনেত্রীর সাথে দেখা করার জন্য দলের মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র নিয়ে কারাফটকে গেলেও তার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ।’

খালেদা জিয়ার হাঁটু ও পায়ের ব্যথা আরো বেড়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পুরাতন ভবনের স্যাঁতস্যাঁতে কক্ষে তাকে অন্তহীন নানাবিধ সমস্যার দ্বারা আক্রান্ত হতে হচ্ছে। সেখানে একদিকে মশার তীব্র উপদ্রুব, অন্যদিকে ঘনঘন লোডশেডিংয়ে তাকে এক অবর্ণনীয় কষ্টে রাখা হয়েছে।’

গণতন্ত্র নিয়ে কমনওয়েলথ সম্মেলনের এক্সিকিউটিভ সেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটিকে গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রতি ‘চরম উপহাস ও মসকরা’ বলে অভিহিত করেন রুহুল কবির রিজভী।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদেরকে গভীর রাতে হল থেকে বের করে দেওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এটি দেশের ইতিহাসে একটি অন্যতম ন্যাক্কারজনক ও কলঙ্কজনক ঘটনা। আওয়ামী সমর্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যে এতো নিচে নামতে পারে, সেটি দেখে বিবেকবান মানুষরা আজ বিস্মিত, হতভম্ব। আওয়ামী ক্ষমতার বলয়ে ঢুকে এরা শিক্ষার মূল আদর্শকেই জলাঞ্জলি দিয়েছেন। আওয়ামী সমর্থিত শিক্ষক ও ছাত্রলীগ যেন একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।’

চাদার দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রনি এক কোচি সেন্টারের মালিককে মারধরের প্রসঙ্গ তুলে রিজভী বলেন, এটাই হলো সরকারের আইনের শাসন, সুশাসন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের নমূনা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ এপ্রিল ২০১৮/রেজা/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়