ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

গণতন্ত্র নয়, নির্বাচনে বিএনপির বিপর্যয় হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৫, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গণতন্ত্র নয়, নির্বাচনে বিএনপির বিপর্যয় হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

সচিবালয় প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ফখরুল সাহেব (বিএনপি মহাসচিব) বলেছেন- ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ছিল গণতন্ত্রের মহাবিপর্যয়ের দিন। এটা আসলে তা নয়, এটা হচ্ছে বিএনপির জন্য মহাবিপর্যয়ের দিন। তাদের উচিত দিনটিকে তাদের বিপর্যয়ের দিন হিসেবে পালন করা।

তিনি বলেন, তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়াই ছিল ত্রুটিযুক্ত। তারাতো নির্বাচনী প্রচারে নামেনি। ফখরুল সাহেব নির্বাচিত হয়েছেন সেটা ভাল। আমি তাকে স্বাগত জানাই। তবে তিনি মহাসচিব হিসেবে যথেষ্ট ব্যর্থ হয়েছেন।

বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিসিআরএফ) সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমি মাঠের মানুষ। আমি যখন কলেজে পড়ি তখন আওয়ামী লীগের জনসভা হলে আমি সেই জনসভার মাইকিং করতাম। প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে দলের মাইকটি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। এবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে সরকারের মাইকটি আমার হাতে ধরে দিয়েছেন। আমার সেই ছোট বেলার মাইকিং এখনো করছি।

আজ শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ। মাথাপিছু আয় তিনগুণ বেড়ে গেছে। আমরা এখন এমন এক জায়গায় গিয়েছি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, আমরা বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে কেন, যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক দেশ কিন্তু বদলে গেছে। বিশ্বে হাতেগোনা কয়েকটি দেশ প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের উপরে ধরে রাখতে পেরেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি ।শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশ নিয়ে প্র্রশংসা করে মানুষ। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীরা বাংলাদেশকে নিয়ে প্রশংসা করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে নেতিবাচক রাজনীতি যদি না থাকতো রাষ্ট্র আরো অনেকদূর এগিয়ে যেত। গেল দশ বছর বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি করেছে। সমালোচনা করার প্রয়োজন আছে। কিন্তু সমালোচনা যখন অন্ধ সমালোচনা হয় তখন সেই সমালোচনা কল্যাণকর হয় না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা যখন সংঘাতের রূপ নেয় তখন রাষ্ট্রের বড় ক্ষতি হয়।

বিএনপি কোনো কাজে প্রশংসা করে না। সব কাজে সমালোচনা করে। এটা দেশকে পিছিয়ে দেয়। দেশে সাংঘর্ষিক রাজনীতির অবসান হওয়া প্রয়োজন। এক্ষত্রে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রয়োজন। আজ হরতাল যে অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেছে তা গণমাধ্যমের কারণে সম্ভব হয়েছে।

সাংঘর্ষিক রাজনীতি বন্ধে আপনাদের ভূমিকা আছে। আমি আমার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সাংবাদিক ভাই-বোনদের পরামর্শ নিয়ে তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। আমি প্রথম মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে গঠিত মন্ত্রিসভার কমিটির বিষয়ে উত্থাপন করেছি। সাত সদস্যের মন্ত্রিপরিষদ কমিটি পাশ হয়েছে।

আমি মনে করি, আমার উত্তরসূরী ভাল কাজ করেছে। আরো কোন কোন প্রকল্প গ্রহণ করা যায় তার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। যা সাংবাদিক বন্ধুদের জন্য কাজে দেবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা কার সঙ্গে কে কথা বলে সংবাদ প্রচার করছে তা তদন্ত করার প্রয়োজন আছে। তারা নির্বাচনের পর ভাল নির্বাচন হয়েছে সেটা বলেছে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জানুয়ারি ২০১৯/আসাদ/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়